JU: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর তদন্ত কমিটি রিপোর্টে রেজিস্ট্রার বিপাকে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল যাদবপুরের তদন্ত কমিটি। দীর্ঘদিন ধরে মেন হস্টেলে ব়্যাগিং চলত, সেই ব়্যাগিং-য়ের প্রমাণ পেয়েছেন কমিটির…

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট পেশ করল যাদবপুরের তদন্ত কমিটি। দীর্ঘদিন ধরে মেন হস্টেলে ব়্যাগিং চলত, সেই ব়্যাগিং-য়ের প্রমাণ পেয়েছেন কমিটির সদস্যরা। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। মেন হস্টেলে নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল, গাফিলতির জন্য দায়ি রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, উল্ল্যেখ রয়েছে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে।

Advertisements

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আর কী কী উল্ল্যেখ রয়েছে? যে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছিল তারা সবার প্রথমে একটি প্রোবেশনাল রিপোর্ট পেশ করেছিল। সেই তদন্ত কমিটি ৪৬ পাতার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে। এটিকে ফাইনাল রিপোর্ট বলে হচ্ছে এবং এর মধ্যে একগুচ্ছ বিষয় উল্ল্যেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ব়্যাগিং চলত এমন তথ্য প্রমাণ এনকোয়ারি কমিটির সদস্যরা পেয়েছেন। পাশাপাশি রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, যার দায়িতব ছিল ক্যাম্পাস বা হস্টেলের নিরাপত্তা, সেই দায়িত্ব তিনি যথাযতভাবে পালন করতে পারেন নি, এমনটা বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি হস্টেল সুপার তপন জানা, তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক রেকমেন্ডেশন দেওয়া হয়েছে। মেস কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। কারণ যে ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে সেখানে ২৮ জন এক্স-স্টুডেন্টের থাকার তথ্য রয়েছে।

গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান স্বপ্নদীপ কুণ্ডু বলে প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরের দিন ভোরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। স্বপ্নদীপের পরিবার অভিযোগ করেন যে র্যা গিংয়ের কারণে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ যাদবপুরের প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যায় চারিদিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে কেন প্রাক্তনীরা থাকছেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।