নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment corruption) তদন্ত এগোতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) সঙ্গে গোপাল দলপতির (Gopal Dalpati) লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ পেল সিবিআই। সেই সমস্ত টাকা নিয়োগ দুর্নীতির বলেই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। জানা গেছে, গোপালকে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে কুন্তল।
জানা গিয়েছে, নাম বদল করে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেই নিজেকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন গোপাল দলপতি। সেই আরমানের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে কুন্তল ঘোষ। সেই টাকা এসেছে ২০১৭ এবং ২০২১ সালে। কখনও ৫০ হাজার, কখনও ৭০ হাজার টাকা এমনকি ১ লক্ষ টাকা অবধি লেনদেনের হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, এই টাকা কী নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? তাহলে কী কুন্তলের হয়ে কাজ করত গোপাল দলপতি? তাহলে কী কাজ করত? সেটা নিয়ে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে।
তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের পর থেকেই একাধিক নাম উঠে আসতে শুরু করে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল একাধিকবার কুন্তলকে টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে। সেই টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে জানা গেছে। আবার কুন্তল দাবি করেছে, সমস্ত টাকা গোপাল দলপতি এবং তাঁর স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে রয়েছে। তখন থেকেই এই নাম উঠে আসার পর থেকেই তদন্তের মোড় ঘুরতে শুরু করেছে।
এখন দুই জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকআউন্ট খতিয়ে দেখে সিবিআই দাবি করছে, দুই জনের মধ্যে টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকার অঙ্ক কয়েক লক্ষ টাকা। এই টাকার মালিক কে? যদিও একাধিকবার গোপাল দলপতি দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে মুলচক্রি কুন্তল ঘোষ। নিজের গা বাঁচাতেই একাধিক জনের নাম ভাসিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, কুন্তল দাবি করেছে, গোপাল দলপতির মাধ্যমেই টাকা চলে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তাহলে কী দুই জনের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন গোপাল? উঠছে প্রশ্ন।