মুম্বাইয়ের আবহাওয়া (Weather Update) সম্প্রতি অনেকটাই অস্বাভাবিক ছিল। গতকাল, অর্থাৎ ২১ নভেম্বর, শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড পর্যায়ে নেমে আসে। ভারতের আবহাওয়া (Weather Update) দপ্তরের সান্তাক্রুজ কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানানো হয় যে, গতকাল মুম্বাইয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৫°C, যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সাধারণত এই সময়ে তাপমাত্রা ২১-২২°C হয়ে থাকে, কিন্তু এবার তা ২.৭°C কম ছিল। এর আগে, সান্তাক্রুজে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কখনোই এতটা কমে যায়নি।
এই রেকর্ড-লো তাপমাত্রা(Weather Update) সাধারণত শীতকালীন প্রবাহের কারণে হয়, যখন উত্তর থেকে ঠাণ্ডা বাতাস মুম্বাইয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। যদিও তাপমাত্রা কমেছে, শহরের তাপমাত্রা (Weather Update) সকাল ৭টার দিকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পরবর্তীতে দুপুরে তা ৩৩.৬°C-এ পৌঁছেছিল, যা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম ছিল (০.৪°C কম)। এই সব তথ্য জানিয়ে ভারতের আবহাওয়া (Weather Update) দপ্তর জানিয়েছে যে, মুম্বাইয়ের আবহাওয়া পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এদিকে, শহরের বায়ু গুণমানের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো ছিল না। মুম্বাইয়ের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ১২৮, যা “মোডারেট” (মাঝারি) শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, মুম্বাইয়ের বাতাসে (Weather Update) কিছুটা দূষণ রয়েছে, তবে তা ততটা ক্ষতিকারক নয়। তবে, যারা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন, যেমন হাঁপানির রোগী বা হৃদরোগের রোগী, তাদের জন্য এটি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। একইভাবে, শহরের কিছু এলাকা, যেমন ঘাটকোপার এবং বোরিভালি পূর্বের কিছু অংশে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ২০০-এরও ওপরে উঠেছিল, যা “খারাপ” শ্রেণিভুক্ত হয়। এসব এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান করলে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে।
এদিকে, মুম্বাইয়ের বর্তমান আবহাওয়ার (Weather Update) অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে যে আজকের দিনটি বেশ মেঘলা থাকবে। তাপমাত্রা ২০°C থেকে ৩৩°C এর মধ্যে উঠানামা করবে। আজকের তাপমাত্রা সাধারণত গরমের দিকে থাকবে, কিন্তু মেঘলা আকাশ এবং মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। শহরের আর্দ্রতা ৩৯% এবং বাতাসের গতিবেগ ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় প্রবাহিত হচ্ছে। সূর্যোদয় সকাল ৬:৫০ এ এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫:৫৯ এ হবে।
মুম্বাইয়ের এই সময়ের আবহাওয়া প্রকৃতির নানা দিক তুলে ধরে। এটি যেমন শীতলতার অনুভূতি দেয়, তেমনি শহরের প্রতি মানুষের দৈনন্দিন কার্যকলাপে কিছু প্রভাব ফেলতে পারে। এমন আবহাওয়ার মাঝে বাইরে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যদি কেউ দুপুরের দিকে বাইরে বের হন, তবে সূর্যের প্রখর তাপ থেকে বাঁচার জন্য সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। মুম্বাই শহর তার গরম তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার জন্য পরিচিত, তবে এবারের ঠাণ্ডা পরিমাণ কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল, যা শহরের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা।
এছাড়া, মুম্বাইয়ের আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিবর্তনের সাথে মোকাবিলা করতে মুম্বাইবাসীকে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিশেষত, যেহেতু বায়ু গুণমানের পরিস্থিতি গতকাল থেকে কিছুটা খারাপ ছিল, তাই যারা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
মুম্বাইয়ের শীতকাল সাধারণত খুবই উপভোগ্য এবং বেশ আরামদায়ক হয়, কিন্তু কিছু সময় তাপমাত্রা একদম কমে যায়, যেমন গতকাল। এই সময় শহরের আবহাওয়া বেশ শীতল থাকে এবং এটি মানুষকে বাইরে বেরিয়ে মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে অনুপ্রাণিত করে। তবে, এই সময় বিশেষভাবে আবহাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, এলার্জি বা সর্দি-কাশি হওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই সঠিকভাবে আবহাওয়া অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
মুম্বাইয়ের আবহাওয়া আরও এক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো এখানে জীবিকার জন্য যারা বাইরে কাজ করেন, তাদের জন্য এই আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুম্বাইয়ে যারা নির্মাণকাজ, রাস্তায় কাজ, বা অন্য শারীরিক কাজ করেন, তাদের জন্য আবহাওয়ার তীব্র পরিবর্তন স্বাস্থ্যের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিশেষত, একদিকে যেমন ঠাণ্ডা, তেমনি আবার রোদ্দুরেও বাইরে কাজ করতে হতে পারে, এই দুইয়ের মাঝামাঝি একটি ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।