মৌসুমী অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের দাপটে তেড়ে বৃষ্টি আসছে এই ৬ জেলায়, তৈরি থাকুন

চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত। সেইসঙ্গে মৌসুমী অক্ষরেখা তো রয়েইছেই। যে কারণে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী কয়েকদিন বাংলায় আরও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখার সাক্ষী থাকবেন রাজ্যবাসী।…

চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত। সেইসঙ্গে মৌসুমী অক্ষরেখা তো রয়েইছেই। যে কারণে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী কয়েকদিন বাংলায় আরও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখার সাক্ষী থাকবেন রাজ্যবাসী। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আর এরকমই পূর্বাভাস জারি করে সকলের পিলে রীতিমতো চমকে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে চরম সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। আজ ২৯ আগস্টও বাংলাজুড়ে প্রবল বৃষ্টির (Rainfall Update) পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।

বিগত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন নদীর জলস্তর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলেছে। তবে দাঁড়ান, কারণ বেলা গড়ালে ছবিটা বদলাতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির কারণে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। আপাতত ৩১ আগস্ট অবধি মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখার দাপটে আজ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

   

হাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা যেমন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর , নদীয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে আজ উত্তরবঙ্গের মোটের ওপর সব জেলাই যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টি হবে, তাও কিনা বজ্রবিদ্যুৎ সহ। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও। এদিকে আইএমডি গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিম রাজস্থান, কেরালা, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীর সহ ১৪ টি রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার গভীর রাত থেকে জাতীয় রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমেছে।

উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টিপাত ছাড়াও গুজরাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এ পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যা জনিত দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের একাধিক জেলায় সেনা মোতায়েন করা প্রয়োজন। বাতিল করা হয়েছে ১০টির বেশি ট্রেন।