Weather Update: দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে সম্প্রতি একটি বিশেষ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা অনেকেই এখনকার শীতের অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সৃষ্টি হতে পারে। তবে বেলা বাড়লেই আবার রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে, যার ফলে কুয়াশা ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাবে।
কুয়াশার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। তবে এই কুয়াশা শীতের আঁচ বাড়াতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে না। শীতের আমেজ এখনও বজায় থাকবে, তবে তা তেমন জাঁকিয়ে শীতের মতো অনুভূত হবে না। মানে, তাপমাত্রা তেমন নিচে নামবে না, এবং শীতের গতি ধীরে ধীরে আরও কমে যাবে।
এছাড়া, এই সময়ে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী পাঁচদিনে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে হরিয়ানা এবং কেরল সংলগ্ন অঞ্চলে দুটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, তবে এর কারণে তাপমাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৮ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবাহিত হচ্ছে, যা ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে, কিন্তু এই ঝঞ্ঝার প্রভাবও তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসবে না।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও কুয়াশার প্রভাব কিছুটা বেশি থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার আশঙ্কা রয়েছে। এই কুয়াশার ফলে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটার পর্যন্ত নামতে পারে, যা চলাচলের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এই অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম, এবং তাপমাত্রাতেও তেমন কোনো বড় পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
এছাড়া, দিনমজুর বা কৃষকদের জন্য এই আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা উপকারী হতে পারে, কারণ বর্তমানে তাপমাত্রার কোনো বড় হেরফের নেই, আর কুয়াশার প্রভাবও কৃষিকাজের জন্য তেমন ক্ষতিকর হবে না। তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকার ফলে শীতকালীন ফসলগুলো তেমন কোনো বিপদের সম্মুখীন হবে না।
অতএব, দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের মানুষজন শীতের মাঝামাঝি সময়টাতে কিছুটা কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকবে, তবে এই পরিস্থিতি খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রায় কোনো বড় পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে না এবং পরবর্তী ঝঞ্ঝা পর্যন্ত আবহাওয়া থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত।