শেষরাতে যুগলে গেয়েছিলেন গান! সকালে মেয়েকে দিয়েছিলেন চকলেট, তবে ফেরা আর হল না

এমন যে হতে চলেছে ঘুণাক্ষরে কেউ ভাবতে পারেনি। শিলিগুড়ির সুকান্ত পল্লিতে এখনও বিস্ময়ে ভরা মুখগুলো চেয়ে আছে মৃত আশিস দে-এর বাড়ির দিকে। অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের…

asish dey

এমন যে হতে চলেছে ঘুণাক্ষরে কেউ ভাবতে পারেনি। শিলিগুড়ির সুকান্ত পল্লিতে এখনও বিস্ময়ে ভরা মুখগুলো চেয়ে আছে মৃত আশিস দে-এর বাড়ির দিকে। অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ম্যানেরাজ ছিলেন আশিস দে। মৃত্যু যে এইভাবে আসতে পারে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না দে বাড়ির বাসিন্দাদা। শোকে পাথর হয়ে আছেন আশিস দে-এর স্ত্রী। যার সঙ্গে গত রবিবার রাতে একটা প্রেমে ভরা সময় কাটিয়েছেন তিনি, যে লোকটা সোমবার সকালে কাজে বেরনোর সময় নিজের ছোট্ট মেয়েকে চকোলেট দিয়ে বললেন ‘ফিরছি’, সেই মানুষ এখন না ফেরার দেশে।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটির গার্ডের দায়িত্ব নিয়ে যাত্রা শুরু করেন আশিস দে। কিছু সময় পরেই আশিস দের পরিবার জানতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি ষ্টেশনের কিছু দূরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সকাল ন’টায় বাড়ির সদস্যরা আশিস দের মৃত্যু সংবাদ। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩২ নং ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লির বাসিন্দা আশিস দে। শতাব্দী এক্সপ্রেসের গার্ড হিসাবে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নিজের প্রয়োজনেই ডিউটি বদল করে সোমবার সকালে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড হয়ে ট্রেনে ওঠেন তিনি। আর তারপরেই ঘটে দুর্ঘটনা।

   

তাঁর স্ত্রী দীপিকা দে কান্না চেপে বলছিলেন,” বহুদিন পর রবিবার রাত্রে গান গাইতে বসেছিলাম দুজনে। একের পর এক গান গাইলাম – ভালোবাসার গান। নিজে কোনওদিন রান্না করত না। কিন্তু রবিবার নিজের হাতে ডিম ভাজল। আর আজ সব শেষ!” কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বাড়ছে মৃতদেহ স্তূপ, আহত বহু যাত্রী। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নয়ের = উপরে এবং আহতের সংখ্যা ৬০ বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।