বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কর্তৃক “মোদী চোর” স্লোগান তোলার ঘটনা গোটা রাজ্যের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য নয়, বরং গোটা মোদি সম্প্রদায়ের প্রতি অপমান এবং হীন ইঙ্গিত দাবি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, আমাদের স্মরণ রাখা উচিত, যখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “এই সব চোরদের নাম মোদী , মোদী মোদী কেন?” — সেই মন্তব্যের জন্য তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করে আদালত দোষী ঘোষণা করেছিল এবং তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন উঠছে — একই প্রেক্ষাপটে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে “মোদী চোর” স্লোগান দেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? কেন বিধানসভার স্পিকার তাঁকে থামালেন না? এই দ্বৈত নীতি আমরা মানি না, মেনে নেবো না।
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, মোদী পদবী কেবল একজন ব্যক্তির নয়, এটি একটি বৃহৎ সম্প্রদায়ের পরিচয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মোদী পদবীর বহু মানুষ আছেন, যাঁরা পরিশ্রম করে নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে নয়, বরং একটি গোটা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর শামিল।
যে দেশে “সমতা” এবং “আইনের চোখে সবাই সমান” এই নীতি নিয়ে আমরা গর্ব করি, সেই দেশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে এভাবে একটি সম্প্রদায়কে হেয় করলে এবং তাতে যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় — তাহলে আমাদের গণতন্ত্র কোথায় দাঁড়াবে? আমরা প্রশ্ন করি, আদালত যদি রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে অপরাধ খুঁজে পেতে পারে, তাহলে মমতা ব্যানার্জির মন্তব্য কি সেই একই মানদণ্ডে বিচারযোগ্য নয়?
আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই, বিধানসভার স্পিকার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিন কেন তিনি এই বক্তব্য থামাননি। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই ধরণের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যেমনটি রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছিল। কারণ আইনের সামনে কেউই বড় নয় — সেটা প্রধানমন্ত্রী হোন বা মুখ্যমন্ত্রী।
আমরা এই অপমান মেনে নেব না। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। এই অপমানের প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পথে নামবো, আইনি পথ অবলম্বন করবো এবং জাতীয় স্তরে এই ইস্যুটি তুলে ধরবো।
আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, এই লড়াই আমরা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাব। মোদি সম্প্রদায়ের গর্ব, সম্মান এবং অধিকার রক্ষার্থে আমরা একসাথে থাকবো — যতদিন না ন্যায়বিচার পাওয়া যায়, ততদিন পর্যন্ত আমরা থামবো না।