আরজি কাণ্ডে নয়া মোড়। কলকাতা হাইকোর্ট আরজি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে কার্যত ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আরজি কর থেকে সরিয়ে সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে বদলির ঘটনাকে ‘পুরষ্কার’ বলেও মন্তব্য করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। যা নিয়েই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘সরানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরষ্কৃত করা হল অধ্যক্ষকে। পুরষ্কৃত অধ্যক্ষকে ছুটিতে যেতে বলুন। তা না হলে আমরা নির্দেশ দেব।’
আদালতের ওই নির্দেশের পরই জানা যায়, ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব না নিয়ে আপাতত ১৫ দিনের ছুটি চেয়েছেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। জানা গিয়েছে, ছুটির আবেদন মঞ্জুর হবে কিনা তা নিয়েই আলোচনা চলছে।
এরপরই বিকেলে আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অধ্যক্ষ হিসাবে ডাঃ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। তাঁর কাজে গাফিলতি ছিল বলে মনে করছেন প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে কোনও পদে নিয়োগ করা যাবে না।
আরজি কর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
এদিকে চাকরি থেকে ইস্তফার ৬ ঘন্টার মধ্যেই গত সোমবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয় ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে। যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তাঁকে কেন ফের উচ্চ পদে ফেরানো হল? উঠে যায় প্রশ্ন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তাররাও সন্দীপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তাঁকে ওই পদে মানা হবে না বলে আন্দোলন শুরু হয়। যার আঁচ গনগনে। এর মাঝে সদ্য নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও ছুটির আবেদন করেন। সূত্রে খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকছেন চিকিৎসক অজয় রায়ই।
এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশনের নজরেও ‘ভিলেন’ আরজি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা এ দিন হাসপাতালে যান। ঘুরে দেখেন সর্বত্র। তারপর কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, আরজি কর ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার নেই। এছাড়াও কমিশনের সদস্যাদের বড় অভিযোগ যে, প্রাক্তন অদ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ নিহত তরুণীর প্রতি যথেষ্ট অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন। এমনকী মেয়েটির নামও নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে কমিশন।