দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন চাকরিপ্রার্থী হবু শিক্ষকরা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও তাঁদের নিয়োগ নিয়ে এখনও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল অবধি অপেক্ষার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে চরম হুঁশিয়াকি দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বলেছেন, ডেডলাইন সোমবার সকাল ১০ টা। এর মধ্যে তালিকা প্রকাশিত না হলে বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থী তাঁরা। সে বছরই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১০ সালের ৪ জুলাই পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। তারপর ফের আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ পরীক্ষা হয়। ১৮ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরই বাধে গোল।
চাকরি চেয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার টেট পাশ চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। তখন থেকেই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন জারি রেখেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। পরে ডিসি সাউথের মধ্যস্থতায় শাসক দলের প্রতিনিধি হিসাবে কুণাল ঘোষ চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে অবশেষে গলল বরফ। তারপরেই ধর্মতলা থেকে আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চাকরি প্রার্থীরা। পরিবর্তে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডিপিএসসি ভবনের সামনে গিয়ে ধর্না দেখাবেন তাঁরা। আদালত রায় দিলেই তাঁদের সুরাহা মিলবে। এমনটাই আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। এখন আবার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রার্থীরা।
এরপর শাসক দলের কথায় আশ্বস্ত হয়ে কিছুটা নিয়োগ নিয়ে নিশ্চিন্ত হন চাকরি প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশ পেতেই চাকরিপ্রার্থীরা বালিগঞ্জে ডিপিএসসির অফিসের সামনে ধরনায় বসেন। দু’ সপ্তাহের অপেক্ষা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই দাবি করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন সব হয়ে গিয়েছে। তবে বিকাশ ভবন থেকে সবুজ সঙ্কেত না এলে তাঁরা প্যানেল প্রকাশ করতে পারছেন না।