তিলোত্তমার জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রতিবাদী মঞ্চের নয়া পদক্ষেপ

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, তিলোত্তমার জন্মদিন। তিলোত্তমা, যাঁর বিরুদ্ধে এখনও ন্যায়বিচারের দাবি উঠছে, সেই তিলোত্তমার জন্মদিনে এবার অন্য এক প্রতিবাদী মঞ্চের আয়োজন হয়েছে। এই মঞ্চের মূল…

TMC to Meet at Netaji Indoor Under Supremo Mamata Banerjee's Leadership Next Weeky

short-samachar

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, তিলোত্তমার জন্মদিন। তিলোত্তমা, যাঁর বিরুদ্ধে এখনও ন্যায়বিচারের দাবি উঠছে, সেই তিলোত্তমার জন্মদিনে এবার অন্য এক প্রতিবাদী মঞ্চের আয়োজন হয়েছে। এই মঞ্চের মূল উদ্দেশ্য হলো, তিলোত্তমার প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যাকে এখনো পাওয়া যায়নি।

   

তিলোত্তমার মা প্রথম থেকেই প্রতিবাদী আন্দোলন শুরু করেছিলেন, এবং সেই আন্দোলন এখনো অব্যাহত। তিলোত্তমার মৃত্যুর পর থেকে, তাঁর পরিবার এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অনেক দিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন, যাতে তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এই প্রতিবাদী মঞ্চ এবার তিলোত্তমার জন্মদিন উপলক্ষে একটি বড় কর্মসূচি আয়োজন করেছে, যার নাম “বাংলার মেয়ের জন্মদিন”। এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সিবিআইকে। সিবিআইকেও এই আন্দোলনে যুক্ত করতে চায় প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা, যাতে তিলোত্তমার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হয়। আগামী রবিবার, তিলোত্তমার জন্মদিনে আয়োজিত হবে একটি স্মরণসভা, যা সকলের কাছে ‘বাংলার মেয়ের জন্মদিন’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

এদিন, স্মরণসভার আয়োজনের জন্য প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা একাধিক দপ্তরে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন। সেগুলির মধ্যে রয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট, লালবাজার, স্বাস্থ্য ভবন এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। চিকিৎসক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করছেন। আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ছ’মাসে তিলোত্তমার ঘটনায় যে বিচারের কাজ শুরু হতে পারেনি, সেই বিষয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, এই ছ’মাসে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অনেক আন্দোলন হয়েছে, বহু রাত জেগে ধরনা, প্রতিবাদ, পথে নামা হয়েছে, তবে এখনও তিলোত্তমার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

এখন, তিলোত্তমার জন্মদিনে প্রতিবাদী মঞ্চ তাদের গাঁধীগিরির পথ অনুসরণ করতে চায়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিবাদ করার একমাত্র সঠিক পথ হলো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং সরকার এবং প্রশাসনের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরা। তিলোত্তমার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জনগণের মধ্যে একটা বড় আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “শুভ বুদ্ধির উদয়ের বার্তা দিতেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যাতে তিলোত্তমার বিচার ব্যবস্থা দ্রুত এবং সুবিচার পূর্ণ হয়।”

এটি শুধু তিলোত্তমার পরিবারের জন্য নয়, বরং সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের জন্যও একটি বড় পদক্ষেপ, যাতে সবাই জানে যে ন্যায়বিচারের জন্য কেউ কখনও থেমে যাবে না। তিলোত্তমার জন্মদিনে এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই হলো, “ন্যায়বিচারের জন্য শাসন ব্যবস্থা ও প্রশাসনের কাছে সরব হওয়া।”