বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ ফের পথে সনাতনী সমাজ

বাংলাদেশে (Bangladesh) সাম্প্রতিক সময়ে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের মাত্রা যেন দিনে দিনে বাড়ছে। রানি রাসমণি…

Sanatani Society protest

বাংলাদেশে (Bangladesh) সাম্প্রতিক সময়ে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের মাত্রা যেন দিনে দিনে বাড়ছে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আজ প্রতিবাদ মিছিল এবং সমাবেশ করতে চলেছে ৫০টি হিন্দু (hindu) সংগঠন। প্রতিবাদকারীরা দাবি করছেন, বাংলাদেশে চলমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে একের পর এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সারা দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। সন্ত্রাসী হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলা এমনকি হত্যার অভিযোগও উঠেছে। এতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

   

এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ জানাতে সনাতনী সমাজ (Sanatani Society) ফের একজোট হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা ঠেকাতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তারা সরকারের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্য কামনা করেছেন যাতে এই হিংসাত্মক পরিবেশের অবসান ঘটে।

আজকের প্রতিবাদে উপস্থিত থাকবেন ৫০টি সংগঠনের সদস্যরা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় নেতা, সমাজসেবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তারা বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের অঙ্গীকার দাবি করবেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনও। তাদের দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি আঘাত দেওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারা সরকারের কাছে অবিলম্বে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, প্রতিবাদকারী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে চান এবং সরকারের কাছে দাবি করবেন, যাতে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।