চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের (Bikash Bhavan Protest) ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ঘিরে ফের উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও প্রশাসনিক মহল। গতকাল বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ যে ধরনের বলপ্রয়োগ করেছে, তা ‘অতিসক্রিয়তা’র (Bikash Bhavan Protest) পরিচায়ক বলেই মনে করছেন বহুজন। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায়।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তারা রাজ্য সরকারের(Bikash Bhavan Protest) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন। তাঁদের দাবি, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির শিকার হয়ে তারা চাকরি হারিয়েছেন, অথচ প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন তারা ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।
সংঘর্ষের দিন
গতকাল দুপুরে বিকাশ ভবনের(Bikash Bhavan Protest) প্রধান ফটকে জড়ো হন শতাধিক চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। তাঁদের দাবি ছিল একটাই—চাকরি ফেরত চাই। শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি যখন ধীরে ধীরে উত্তেজনায় রূপ নিচ্ছিল, তখনই আন্দোলনকারীদের একটি অংশ গেট ভেঙে(Bikash Bhavan Protest) ভিতরে ঢুকে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশের তরফে(Bikash Bhavan Protest) বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক গুরুতর আহত হন। এক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকেই মাথায় (Bikash Bhavan Protest) আঘাত পেয়েছেন, কারও হাতে-পায়ে গুরুতর চোট। তা সত্ত্বেও, আন্দোলনকারীরা রাতভর(Bikash Bhavan Protest) বিকাশ ভবনের সামনেই বসে অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না রাজ্য সরকার তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিচ্ছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে।
আইনজীবীর হস্তক্ষেপের অনুরোধ
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান(Bikash Bhavan Protest) বিচারপতির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, পুলিশের এই ‘অতিসক্রিয়তা’ শুধুমাত্র সংবিধান বিরুদ্ধই নয়, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও সামিল। রাজ্য সরকারের (Bikash Bhavan Protest) নিয়ন্ত্রণাধীন বিধাননগর কমিশনারেটের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় (Bikash Bhavan Protest) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তাঁর আবেদন, আদালত যেন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়ে এই ঘটনায় যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেন।
আন্দোলনকারীদের অবস্থান
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আর কোনও(Bikash Bhavan Protest) নিয়োগ পরীক্ষায় বসবেন না। তাঁদের দাবি একটাই—অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আজ তাঁরা ‘ধিক্কার দিবস’ পালন করছেন। বিকাশ ভবনের সামনেই ব্যানার, পোস্টার ও প্রতিবাদী স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে চত্বর।
এক আন্দোলনকারী শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের অপমান করা (Bikash Bhavan Protest) হয়েছে। আমরা মার খেয়েছি, রক্ত দিয়েছি। তবু এখানেই থাকব যতক্ষণ না আমাদের চাকরি ফেরত দেওয়া হচ্ছে। আমরা নতুন করে কোনও পরীক্ষা চাই না, আমরা চাই ন্যায্য বিচার।”
এই ঘটনা শুধু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বা আন্দোলনের বিষয়েই(Bikash Bhavan Protest) সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাজ্যের প্রশাসনিক আচরণ এবং মানবাধিকার রক্ষায়(Bikash Bhavan Protest) কতটা মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল। আদালত কী পদক্ষেপ নেয় এবং রাজ্য সরকার কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়, তা এখন আগামিদিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।