সঞ্জয় কি একা নাকি রয়েছে একাধিক ব্যক্তির হাত ? রহস্যে ক্রমাগত ঘনীভূত হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডের

ঘটনার পর (R G Kar Medical College and Hospital) কেটে গিয়েছে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সঞ্জয়। কিন্তু খুন এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত…

rg kar medical college

ঘটনার পর (R G Kar Medical College and Hospital) কেটে গিয়েছে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সঞ্জয়। কিন্তু খুন এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের ছাড়া কি আর কেউ কি আছে এই গোটা ঘটনার পিছনে। সময় এগোতেই একের পর রহস্য আর ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ওই ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের সিমেন ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে আরও একটি ব্যক্তির সিমেন! যার পরেই আরও ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। শুধু তাই নয়, মৃত ডাক্তার তরুণীর গায়ে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা একজন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ফরেন্সিক চিকিৎসকরা।

সাতসকালে সুখবর, বাংলার ১১ জেলায় কমল পেট্রোলের দাম

   

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মৃতার দেহে ১১টির বেশি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মিলেছে চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণও। আঘাতের চিহ্ন ছিল বাঁ পা, পেট, হাত, ঘাড়-সহ আরও একাধিক জায়গায়। একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁকে। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের এক চিকিৎসকের কথায়, ‘অপরাধের ধরন এবং একাধিক আঘাতের চিহ্ন থেকে পরিষ্কার, তরুণীর উপরে দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে তরুণী স্বাভাবিক ভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এক জন এই ঘটনা ঘটালে তরুণী হয়তো চিৎকার করতে সক্ষম হতেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি।’ এখানেই নতুন করে দানা বাঁধছে রহস্য। কিন্তু পুলিশ অবশ্য আগাগোড়াই জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া যুবকই একমাত্র অভিযুক্ত। তাহলে মেডিকেল পড়ুয়াদের একাংশের প্রশ্ন, পুলিশ কি তাহলে কাউকে আড়াল করতে চেষ্টা করছে?

রবিবার হাওড়া ডিভিশনে বাতিল প্রচুর লোকাল ট্রেন, দেখুন তালিকা

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে অবাধ ঘোরাফেরা ছিল সঞ্জয়ের। সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও, কাজে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। প্রভাব খাটিয়ে কর্মস্থলেও নিয়মিত পাওয়া যেত না তাঁকে। খুব কমই দেখা যেত তাঁকে। এতটাই প্রভাব ছিল সঞ্জয়ের যে তিনি পুলিশ ব্যারাকে থাকতেন, যা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাওয়ার এক্তিয়ারই নেই। বাড়ি ভবানীপুরে হলেও, উল্টোডাঙায় ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকতে শুরু করেন।

আজ শিয়ালদহ-হাওড়া ডিভিশনে বাতিল প্রচুর লোকাল ট্রেন, দেখুন তালিকা

আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি ইতিমধ্যে তুলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন। শনিবার এব্যাপারে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দাবির কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের অপর আরেকটি সংগঠন রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মহিলা চিকিৎসকদের শুধু দিনে ডিউটি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে।