প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা নিলে আপনার কারাবাসও হতে পারে

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে অনেক নতুন স্কিম চালু করেছে৷ করোনাভাইরাস সংকটকালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিয়ত মানুষকে আর্থিক অনটন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অনেক…

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা নিলে আপনার কারাবাসও হতে পারে

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে অনেক নতুন স্কিম চালু করেছে৷ করোনাভাইরাস সংকটকালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিয়ত মানুষকে আর্থিক অনটন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অনেক সময় যারা এগুলির অধিকারী নয়, তারাও এই প্রকল্পগুলির (পিএম কিষাণ সম্মান যোজনা) সুবিধা নেওয়া শুরু করে। কিন্তু, মোদী সরকার এবার এই ধরনের ভুয়ো সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আপনিও যদি এই ভুল করে থাকেন, তাহলে এই পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন।

টাকা সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে যায়
পিএম কিষাণ সম্মান যোজনার আওতায় একজন প্রান্তিক কৃষককে একটি সম্মান নিধি থেকে বছরে ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই অর্থ সরাসরি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী কৃষি আশির্বাদ যোজনার সুবিধা (সিএম কৃষি আশির্বাদ যোজনা ঝাড়খণ্ড) ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলায় পূর্ববর্তী রঘুভার সরকার শুরু করেছিল। এর অধীনে প্রায় ৯০ হাজার সুবিধাভোগী নথিভুক্ত হয়েছিল। আর এখানেই ধরা পড়েছে বড়সড় একটা অনিয়ম৷

পিএম কিষাণ যোজনায় বিশেষ বিধান
পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে অষ্টম কিস্তির টাকা পাঠিয়েছিল। দেশের প্রায় ৯.৫ কোটি কৃষকের প্রতিবার দুই হাজার করে সবার অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, পিএম কিষাণ যোজনায় একটি বিধান করা হয়েছে যে, একজন কৃষক যদি প্রথমবারের মতো এই প্রকল্পে নিজেকে নিবন্ধন করেন, তাহলে তিনি একই সঙ্গে দুটি কিস্তির পরিমাণ পান। মুখ্যমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনা ২০১৯ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডেও বাস্তবায়িত হয়েছিল, যাতে পূর্ব সিংভূম জেলার প্রায় এক লক্ষ কৃষক এই তালিকায় ছিলেন।

Advertisements

সরকার তদন্ত করছে
এখন সরকার কিষাণ যোজনার আওতায় কেলেঙ্কারির ব্যাপারে কঠোর নজর রাখছে। সরকার এখন এমন লোকদের কঠোরভাবে তদন্ত করছে, যারা যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও পিএম কিষাণ যোজনার সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে যে তাদের নাম আধারের সঙ্গে সংযুক্ত এবং আধারও প্যানের সঙ্গে যুক্ত। এভাবে সরকারের পক্ষে তাদের আয় বের করা সহজ হয়। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম বাদে অনেক জেলায় এমন লোকদের চিহ্নিত করা হয়েছে ,যারা অযোগ্য হয়েও প্রধানমন্ত্রী কিষানের সুবিধা নিয়েছেন। এখন তাদের সকলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হচ্ছে।