মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া বিরোধী জোট রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, ধনখড় অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্টভাবে রাজ্যসভার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই প্রস্তাবটিতে ৫০টিরও বেশি সাংসদ সই করেছেন যাদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, তামিলনাড়ুর ডিএমকে এবং লালু যাদবের রাজদল রয়েছেন।
কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “সব দল একত্রিত হয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাঁর পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের কারণে সংসদের কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।” তৃণমূলের সাংসদ সাগরিকা ঘোষ আরও তীব্রভাবে অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার “সংসদকে হত্যা” করছে এবং সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, “আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখার জন্য আমরা অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।”
কয়লা পাচার মামলায় বিশেষ আদালতে চার্জ গঠন লালা-সহ ৪৯ জনের
তবে, তৃণমূলের সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী জোটের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এই অনাস্থা প্রস্তাব সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। লোকসভাতেও বিরোধীদের সংখ্যা কম, ফলে রাজ্যসভা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা কঠিন হবে। তবে আজ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ৫০ জনেরও বেশি সাংসদের সই রয়েছে। রাজ্যসভার এই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার আগেই সাংসদ তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।
ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদরা এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তর্ক-বিতর্কের কারণে সংসদ দিনভর অধিবেশন স্থগিত ছিল। বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাথে ব্যবসায়ী জর্জ সোরোসের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিরোধীরা দাবি করে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন উত্তরপ্রদেশের সাম্বলে মসজিদের জরিপ নিয়ে সহিংসতা এবং কৃষকদের এমএসপি আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্য, বাংলার দাবিদাওয়াগুলিকেই তাঁরা অগ্রাধিকার দিতে চান সংসদে।
মমতা-লালু দ্বৈরথকে কটাক্ষ বিজেপির
আলোচনা চান মণিপুরের মতো প্রসঙ্গ নিয়েও। তাই হট্টগোল করে সংসদ অচল করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের। কারণ সংসদ অচল হলে মানুষের দাবিদাওয়ার কথা, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষকে বঞ্চনার অভিযোগের কথা অধিবেশনে তুলে ধরা যাবে না। সোমবার, রাজ্যসভায় বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে ব্যবসায়ী জর্জ সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে আক্রমণ করেন। তিনি দাবি করেন, সোরোসের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সংযোগ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই দাবির পক্ষে বিজেপি সাংসদরা সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন, যার ফলে একাধিকবার অধিবেশন স্থগিত করতে হয়। তবে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিরোধীরা সকলে মিলে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন। পূর্ব নিয়ম অনুযায়ী, এই অনাস্থা প্রস্তাবটি প্রথমে রাজ্যসভায় পেশ করতে হবে। সেখানে ধনখড়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত প্রয়োজন। তারপর সেটা লোকসভায় পেশ হবে। সেখানেও একইভাবে ধনখড়ের বিরুদ্ধে মতামত প্রয়োজন।
চলন্ত ট্রেনের তলায় বাইক, শান্তিপুরে মর্মান্তিক মৃত্যু ব্যবসায়ীর
রাজ্যসভায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার সোরোস-ভারত সংযোগ নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, “এমন অভিযোগ উত্থাপন করা দুঃখজনক কারণ মার্কিন সরকার স্বাধীন সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করে, যা সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক।” তবে, কংগ্রেস দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিজেদেরকে দেশপ্রেমী বলে দাবি করেছে। এমন অবস্থায়, সংসদে অস্থিরতা এবং বিরোধী জোটের আক্রমণ এক নতুন দিক নির্দেশ করছে, যা আগামী দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে।
রাজ্যের ৯ জেলায় বৃষ্টি, কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত? আপডেট দিল হাওয়া অফিস
Jagdeep Dhankhar: On Tuesday, December 10, the Congress-led INDIA opposition alliance submitted a no-confidence motion against Rajya Sabha Chairman Jagdeep Dhankhar, accusing him of running the proceedings in a highly biased manner. Over 50 MPs from parties including Congress, Bengal’s ruling Trinamool Congress, Arvind Kejriwal’s Aam Aadmi Party, Akhilesh Yadav’s Samajwadi Party, Tamil Nadu’s DMK, and Lalu Yadav’s RJD have signed the motion.