TMC: রাজ্যসভায় তৃণমূলের বিক্ষোভে গর্জে উঠল ‘হল্লা বোল’ স্লোগান

নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় সংশোধন প্রক্রিয়া ঘিরে এবার উত্তাল সংসদ।(TMC)  বিশেষত বিহারে এই সংশোধনী প্রক্রিয়াকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি,…

Rajya Sabha and Lok Sabha sessions adjourned to stop debate

নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় সংশোধন প্রক্রিয়া ঘিরে এবার উত্তাল সংসদ।(TMC)  বিশেষত বিহারে এই সংশোধনী প্রক্রিয়াকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি, এই সংশোধনের নামে সরকার পক্ষ পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদের ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছে। আর এই পরিস্থিতিতেই এবার লোকসভায় এই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন ইন্ডি (INDIA) জোটের সাংসদরা(TMC)  

Advertisements

এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিহার সহ একাধিক রাজ্যে (TMC)  ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যার ফলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোটাধিকার খর্ব হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, কোনও রকম নোটিশ বা গণশুনানি ছাড়াই ভোটারদের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে ‘গণতন্ত্রের পরিপন্থী’ বলে ব্যাখ্যা করেছে ইন্ডি জোট।(TMC)  

   

এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), সমাজবাদী পার্টি (এসপি), ডিএমকে-সহ একাধিক দলের সাংসদ। তৃণমূলের তরফে এই চিঠিতে সই করেছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।(TMC)  

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিহার ইস্যু হলেও, এই ধরনের অনিয়ম (TMC)  যে অন্য রাজ্যেও হতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলের। তৃণমূলের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা ও স্বচ্ছন্দে নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে। কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় পরিকল্পিত সংশোধনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে লঘু করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু এখন যেভাবে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”(TMC)  

সংসদে এই ইস্যুতে বেশ উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, (TMC)  নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ না করে শাসক দলের সুবিধার্থে কাজ করছে। যদিও সরকার পক্ষ এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ভোটার তালিকা সংশোধন একটি নিয়মিত ও প্রক্রিয়াগত বিষয়। এতে কোনও রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই।”

কিন্তু বিরোধীরা বলছে, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে একদিকে যেমন বেছে বেছে সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারপক্ষের সুবিধাজনক এলাকাগুলিতে অতিরিক্তভাবে নাম তোলা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের আগে যতগুলি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে, সেই সব রাজ্যের ভোটার তালিকাকে কেন্দ্র করে বড় রাজনৈতিক লড়াই হতে পারে। বিরোধীরা এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে চাইছে। লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের ইস্যুতে জনমত গঠনও হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।(TMC)  

এই প্রেক্ষিতে, বিরোধীদের দাবি, ভোটার তালিকায় যেকোনও সংশোধনের আগে গণশুনানি ও পর্যাপ্ত যাচাই প্রক্রিয়া থাকা উচিত। এবং তা যেন সর্বসাধারণের নাগালের মধ্যে থাকে। শুধু প্রযুক্তিনির্ভর প্রক্রিয়া নয়, ম্যানুয়াল যাচাইয়ের ব্যবস্থাও থাকতে হবে, যাতে কোনও নাগরিকের অধিকার খর্ব না হয়।(TMC)  

সবমিলিয়ে, ভোটার তালিকা সংশোধনকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে, তা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এখন দেখার, লোকসভায় এই বিষয়ে আলোচনার দাবি আদৌ মঞ্জুর করেন কি না অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।