‘জবাব চাই জবাব দাও’, এবার আরজিকরকাণ্ডে বিক্ষোভ শুরু নার্সদের

আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের সেমিনার হলে পিজি দ্বিতীয়…

rg kar medical college

আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের সেমিনার হলে পিজি দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। ছাত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। রুজু করা হয়েছে ধর্ষণের মামলাও। এরই মাঝে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম পদক্ষেপ নিলেন নার্সরা।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলের ভিতর থেকে মহিলা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন নার্সরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, কাগজ হাতে সকলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ‘জবাব চাই জবাব দাও’, ‘আমরা বিচার চাই’, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সরা। চলছে কর্মবিরতি।

   

শুধু কলকাতাই নয়, বাংলার বহু জেলার চিকিৎসকরাও এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের চলছে কর্মবিরতি। বিক্ষোভে বসেছেন হাসপাতালগুলির জুনিয়র ডাক্তাররা। নন এমার্জেন্সি বিভাগে চলছে কর্মবিরতি। এদিকে দূর দুরান্ত থেকে এসেও বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হচ্ছে সকলকে। 

যাইহোক, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের পর নির্যাতিতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি জানান, “এটা অবশ্যই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয় ওই মহিলাকে।” এদিকে চার পাতার একটি রিপোর্ট সাফ সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকি চোখে, মুখে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল।

পোস্টমার্টেম রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মৃতার চোখ ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, মুখে ও নখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকেও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পেট, বাম পা, … ঘাড়, ডান হাত, অনামিকা আঙ্গুলেও চোট ছিল।’ কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোর তিনটে থেকে সকাল ছ’টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।