অর্ধেরও বেশি নিয়োগ বেআইনি! এবার CBI-র নজরে ১৮৫০ জনের চাকরি

যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নয়া মোড় আসছে। এবার সিবিআইয়ের নজরে আরও কয়েক হাজার চাকরি। মূলত রাজ্যের বেশ কিছু…

cbi-raids-at-ed-officers-house-in-shimla-one-person-arrested

যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নয়া মোড় আসছে। এবার সিবিআইয়ের নজরে আরও কয়েক হাজার চাকরি। মূলত রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভার মাধ্যমে যে নিয়োগ হয়েছিল সে ব্যাপারে নতুন করে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই (CBI)।

সিবিআই চার্জশিটে যে তথ্য তুলে ধরেছে তা চমকে দেওয়ার মতো। ২০১৭ সালের ১৭টি পুরসভায় নিয়োগের (Municipality Recruitment Scam) ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন যেমন টিটাগড়ে ২২১ জনের চাকরি, কামারহাটিতে ৩০৩ জনের চাকরি, বরানগরে ২৭৬ জনের চাকরি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩২৯ জনের চাকরি সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে।

   

সব মিলিয়ে এখন ১৮৫০ জনের চাকরি সিবিআইয়ের র‍্যাডারে রয়েছে। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে যে অর্ধেকেরও বেশি চাকরি নাকি বেআইনি। বেশি চাকরির অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। সিবিআইয়ের দাবি, নাকি প্রতিটি পুরভায় নিয়োগ হয়েছিল অয়ন শিলের সংস্থার মাধ্যমে। যদিও পানিহাটি ও টাকি পুরভাকে ক্লিনচিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

উল্লেখ্য, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে প্রথমে তদন্তে নেমে ইডি অয়ন শীলের নাম সকলের সামনে তুলে ধরেছিল। তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে পড়ে রাজ্যের নানা পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে যোগসাজশ রয়েছে তাঁর বলে জানা যায়। সিবিআই দাবি করেছে, পুরসভাগুলিতে ক্লার্ক, পিয়ন থেকে শুরু করে ড্রাইভার নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও বেআইনি লেনদেন হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পৌরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।