“গাড়ির তলায় পিষে যাওয়ার এক্স রে রিপোর্টে ফ্র্যাকচার নেই” বিস্ফোরক কুনাল

গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরী হয়েছিল চাঞ্চল্য। অতিবাম ছাত্র সংগঠন হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থক অধ্যাপকদের উপর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ চলেছিল বহুক্ষণ। এমনকি তার…

TMC Leader Kunal Ghosh Says Court Seeks Explanation on Why He Should Not Be Sent to Jail

গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরী হয়েছিল চাঞ্চল্য। অতিবাম ছাত্র সংগঠন হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থক অধ্যাপকদের উপর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ চলেছিল বহুক্ষণ। এমনকি তার গাড়ির নিচে শুয়ে পড়ার এবং গাড়ির কাঁচ ভাঙার ঘটনাও সামনে এসেছে। শিক্ষামন্ত্রী সামান্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তখন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান কিছু হুলিগান ঢুকে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুনাল ঘোষও বলেছেন “এরা ছাত্র হতে পারেনা, ছাত্র সুলভ মনোভাব এদের নেই, এদের চিহ্নিত করুন”।

এবার কুনাল ঘোষ বিস্ফোরক এক ট্যুইট এ লিখেছেন গাড়ির তলায় চাপা পড়েও কোনো ফ্র্যাকচার হয়নি, এমনটাই বলেছে এক্স রে রিপোর্ট। তিনি আরো বলেছেন বিপ্লবীরা পোস্ট টি আরেকবার রিপোস্ট করুক। মিথ্যাচারের নাটক কতদিন চলবে, গাড়ির কাঁচ ভাঙা, পতাকা খুলে নেওয়া গাড়ির উপরে ওঠা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এছাড়াও ব্রাত্য বসু গতকাল বলেছিলেন “শাসক দলকে পছন্দ নাই হতে পারে তার বিরোধিতা করতে শারীরিক হেনস্থা কোনোভাবেই মানা যাবে না।” তার সঙ্গে কুনাল বাবুও যোগ করেছেন “এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার বলে এত বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হচ্ছে। “

   

Advertisements

টুইট তিনি আরো লিখেছেন যে “মিথ্যাচার দিয়ে ভিক্টিম কার্ড খেলা বন্ধ করুন”। এছাড়াও শনিবার শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তার নাম মহম্মদ শাহিল আলি। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত।

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ তাকে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সকাল থেকেই যাদবপুর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মন্ত্রীদের সামনে আন্দোলন এবং ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ চলছিল, যার মধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় উভয়পক্ষের মধ্যে পাঁচটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রীকে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা এবং অগ্নিসংযোগের মামলা।