বেটিং অ্যাপ মামলায় নয়া মোড়, ইডির মুখোমুখি মিমি

অনলাইন বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির তদন্তে নয়া মোড়। দিল্লিতে ইডি (ED Raid) দফতরে হাজিরা দিলেন যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী…

New Turn in Betting App Case: Mimi Appears Before ED

অনলাইন বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির তদন্তে নয়া মোড়। দিল্লিতে ইডি (ED Raid) দফতরে হাজিরা দিলেন যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) ইতিমধ্যেই এই মামলায় একাধিক ব্যবসায়ী, সংস্থার কর্তা এবং আরও বেশ কয়েকজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে টালিগঞ্জের জনপ্রিয় মুখ মিমির নাম।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি ইডির (ED Raid) হাতে বেশ কিছু নথি এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যে পরিচালিত হওয়া একাধিক বেআইনি বেটিং অ্যাপের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন সেলিব্রিটি প্রমোশন বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই অ্যাপগুলির প্রচারে অংশ নিয়েছেন। ইডির ধারণা, প্রোমোশনের নাম করে কোটি কোটি টাকা বেআইনি পথে ঘুরেছে। সেই কারণেই মিমি চক্রবর্তীকে নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল দিল্লির ইডি অফিসে।

   

প্রসঙ্গত, অনলাইন বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই একাধিক সেলিব্রিটি ও অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ, এ ধরনের অ্যাপগুলির মাধ্যমে শুধু টাকা লেনদেনই নয়, অর্থপাচারের বড় চক্রও সক্রিয় ছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাই এই প্রমোশনাল কার্যকলাপকে খতিয়ে দেখছে।

Advertisements

সোমবার সকালে দিল্লির জামনগর হাউসের ইডি দফতরে হাজিরা দেন মিমি চক্রবর্তী। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের কাছে মিমি জানান, তিনি কোনও বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর বক্তব্য, তিনি কেবলমাত্র প্রোমোশনের জন্য কাজ করেছিলেন, এর বাইরে অ্যাপগুলির আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।

তবে ইডি সূত্রের দাবি, মিমির বয়ান এবং অ্যাপগুলির আর্থিক নথি মিলিয়ে দেখা হবে। কোন সময়ে কত টাকা গিয়েছে বা এসেছে, তা যাচাই করছে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় আরও কিছু তথ্য সামনে এসেছে যা তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই ঘটনায় তৃণমূলের মধ্যেও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মিমি শুধু একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীই নন, তিনি যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও তাঁর জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব রয়েছে। তাই ইডির তলব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, কেন তৃণমূলের এতজন নেতানেত্রীর নাম ক্রমশ তদন্ত সংস্থার তালিকায় উঠে আসছে।