কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য গোটা প্যানেলই বাতিল বলে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে কোর্ট। শুধু তাই নয় কোর্টের নির্দেশ মতো অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের মাইনের গোটা অর্থ ফেরত দিতে তবে তাও আবার ১২ শতাংশ সুদে। যদিও এই মামলার স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। এইবার বঙ্গে ম্যারাথন ভোট প্রচারে এসে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয় আইনি পরার্মশ দেওয়ার জন্য তিনি একটি দল তৈরি করে দিয়েছেন বলে ঘোষণা করেন। এছাড়াও সমাজমাধ্যমের জন্যও দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদী তিনটি সভা করার কথা আছে। প্রথম সভাটি ছিল বর্ধমানে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমর্থনে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মোদী প্রচার করেন বর্ধমান পূর্ব আসনের প্রার্থী অসীম সরকারের জন্যও। ওই সভায় মোদী প্রথম দিকে তাঁর সরকারের কৃতিত্বের কথা বলার পাশাপাশি জাতীয় স্তরে বিরোধী জোট তথা কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। এইদিন তাঁর মুখে শোনা যায় সমদেশখালির প্রসঙ্গ। শুধু তাই নয় তৃণমূলকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এইদিন তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করার সময় কথা তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা প্রসঙ্গে। তাঁর গলায় আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন ওনারা এত টাকা চুরি করেছিলেন যে টাকা গুনতে গুনতে আমরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম।
এইদিন তিনি সভাস্থলে উপস্থিত বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি ওনাকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছি যাতে যোগ্য প্রার্থীরা সঠিক আইনি পরার্মশ পাবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে বলেছি, রাজ্য স্তরে একটি আইনি সেল এবং একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বানাতে হবে। এর মাধ্যমে তাঁদের সুবিধা হবে যাঁরা সব কিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির কারণে চাকরি হারিয়েছেন। আমাদের দল তাঁদের আইনি সাহায্য করবে।” তিনি এই বিষয়ে গ্যারেন্টি দিয়ে গেলেন।