নবান্নের দিকে ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে বিশাল মিছিল। পথে পথে (SSC) জনস্রোত, মুখে স্লোগান—”আমরা কাজ চাই, ন্যায় চাই!” আবার কোথাও গলা ফাটিয়ে আওয়াজ—”চাকরি চাই, ভিক্ষে নয়!” চারদিকে শুধু একটাই সুর— দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আর চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে লড়াই।(SSC)
আজকের এই নবান্ন অভিযানে সবথেকে উল্লেখযোগ্য অংশ চাকরিহারাদের অভিনব প্রতিবাদ। কেউ বন্দি পোশাকে, কেউ হাতে-পায়ে বেড়ি পরে, আবার কেউ কালো কাপড়ে চোখ ঢেকে হাঁটছেন মিছিলের সামনে। এ যেন বাস্তবতার প্রতিবিম্ব—দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত, অপমানিত চাকরিপ্রার্থীদের মৌন ও প্রতীকী প্রতিবাদ।(SSC)
এই অভিনব রূপে প্রতিবাদীর দল (SSC) বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, তাঁরা এখন কার্যত সমাজের চোখে ‘দোষী’, কারণ তাঁরা শুধু ন্যায্য দাবির জন্য দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা আজ জেলের পোশাকেই বন্দি, কারণ কথা বলাও যেন হয়ে উঠেছে অপরাধ।
পুলিশের প্রস্তুতি জোরদার
অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কড়া প্রস্তুতি। (SSC) ব্যারিকেড, জলকামান, বিশাল পুলিশবাহিনী—সবই মজুত করে রাখা হয়েছে যেন কোনওভাবে মিছিলের ঢেউ নবান্নের প্রাচীর (SSC) স্পর্শ না করতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করে আটকে দেওয়া হয়েছে মিছিলের গতি। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন আছে দাঙ্গা দমন বাহিনীও।(SSC)
প্রশাসনের মতে, আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তারা বাধা দিতেই পারে। তবে প্রতিবাদীদের বক্তব্য, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জলকামান আর লাঠি দিয়ে আমাদের ন্যায্য দাবি দমিয়ে রাখা যাবে না।”(SSC)
আন্দোলনের মূল কারণ
এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC), প্রাথমিক টেট ও বিভিন্ন সরকারি চাকরির দুর্নীতি। বহু চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করছেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা বঞ্চিত হয়েছেন, এবং টাকা দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।(SSC)
কেউ চাকরি পেয়েও কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন, কেউ আবার একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও এখনও নিয়োগপত্র পাননি।(SSC)
আন্দোলনকারীদের দাবি, “আমরা কোনও দয়া চাই না। আমরা শুধু আমাদের প্রাপ্যটা চাই। আমরা পাস করেছি, যাচাই প্রক্রিয়া হয়েছে, তবু চাকরি পাচ্ছি না। কাদের কারণে? সেই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার কারণে।”(SSC)
অভিনব প্রতিবাদের বার্তা
এই আন্দোলনে অভিনব প্রতিবাদ যেমন নজর কাড়ছে, (SSC) তেমনই তা সরকার ও সমাজের কাছে এক কড়া বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। শুধু প্ল্যাকার্ড নয়, তাদের মুখ, শরীর, পোশাক—সব কিছু দিয়ে তারা বলছেন, “আমরা বঞ্চিত, আমরা বেপরোয়া নই, কিন্তু আমাদের যন্ত্রণা বাস্তব।”(SSC)
চাকরিহারাদের এই প্রতিবাদে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন জেলার অংশগ্রহণ। কারও বয়স ২৫, কেউ আবার ৩৫ ছুঁই ছুঁই—একই ব্যথায় তারা এক কাতারে।(SSC)
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ
নবান্ন অভিযান আজকের মধ্যে দিয়ে এক নতুন মোড় নিচ্ছে। (SSC) প্রশ্ন উঠছে—প্রশাসন কি এবার আলোচনায় বসবে? নাকি এই আন্দোলন আরও বড় পরিসরে রূপ নেবে?(SSC)
বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে রাজ্য প্রশাসনের (SSC) সামনে দ্বৈত চ্যালেঞ্জ—একদিকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, অন্যদিকে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ন্যায্য দাবি শোনা ও বিচার করা।
এখন দেখার, এই প্রতিবাদের আওয়াজ নবান্নের কাঁচঘরে পৌঁছোয় কিনা—না কি জলকামানেই তা ধুয়ে মুছে ফেলা হয়।
আর চাকরিহারাদের পক্ষে, এটা শুধু একটি মিছিল নয়—এটাই তাদের অস্তিত্বের লড়াই।