ভারত-পাক উত্তেজনায় নবান্নে ৩ মাসের সতর্কতা জারি, মুখ্যসচিবের নির্দেশে এই জেলাগুলিতে অতিরিক্ত প্রস্তুতি

বর্তমান আন্তর্জাতিক অস্থির পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের  (Nabanna) তরফে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের (Nabanna) মধ্যে উত্তেজনার আবহে আগামী তিন মাসের…

West Bengal Not Prepared for EC's Special Voter List Revision, Chief Secretary Tells in Letter: Sources

বর্তমান আন্তর্জাতিক অস্থির পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের  (Nabanna) তরফে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের (Nabanna) মধ্যে উত্তেজনার আবহে আগামী তিন মাসের জন্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী এবং প্রত‍্যন্ত জেলাগুলিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব (Nabanna) মনোজ পন্থ। গত রবিবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে জরুরি আলোচনা করেন তিনি।

বৈঠকে মূলত খাদ্য মজুত, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, (Nabanna) যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি গুরুত্ব (Nabanna) সহকারে আলোচনা করা হয়। মুখ্যসচিব (Nabanna) স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী তিন মাস যেন কোনওভাবেই খাদ্য ঘাটতির পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। এজন্য আগেভাগে প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে(Nabanna) । সেই সঙ্গে, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেও যেন কোনও ঘাটতি না থাকে, তার জন্য প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

   

বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে সীমান্তবর্তী (Nabanna) এলাকাগুলিতে, যেমন সুন্দরবনের জলপথ, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি সীমান্ত অঞ্চল, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, Nadia জেলার কিছু অংশ—এইসব জায়গায় নজরদারি (Nabanna) বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত‍্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় টহলদারি বাড়ানো, সন্দেহভাজন চলাচলের ওপর কড়া নজর রাখার বিষয়েও বলা হয়েছে।

এছাড়াও, রাজ্য পুলিশের (Nabanna) পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের জন্যও একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার এবং কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের (Nabanna) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং কোথাও কোনও অপ্রত্যাশিত(Nabanna) পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। সন্দেহজনক বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো (Nabanna) রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে (Nabanna) ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে, এমন নির্দেশ স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

Advertisements

যোগাযোগ ব্যবস্থার (Nabanna) দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। রেডিও, মোবাইল, ইন্টারনেট বা অন্য যেকোনো যোগাযোগ মাধ্যম যাতে ঠিকভাবে কাজ করে এবং জরুরি (Nabanna) মুহূর্তে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য পর্যাপ্ত টেকনিক্যাল প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুর্যোগ বা যেকোনো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে তথ্য আদানপ্রদান করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই কারণে যোগাযোগ (Nabanna) ব্যবস্থা নিখুঁত রাখার ওপরেই জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদেরও (Nabanna) দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার যেভাবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তেমনিভাবে নাগরিকদেরও গুজবে কান না দেওয়া, ভুল তথ্য না ছড়ানো এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার আবেদন জানানো হয়েছে।

সবমিলিয়ে, ভারত-পাক উত্তেজনার (Nabanna) প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসন যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। আগামী তিন মাসের জন্য রাজ্যের নিরাপত্তা, খাদ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা যাতে ঠিকভাবে বজায় থাকে, তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে নবান্ন। পরিস্থিতি যেমনই হোক, রাজ্যের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনধারা বজায় রাখতে সরকার প্রতিটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।