থানার অন্দরে শ্লীলতাহানি! অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর

থানার অন্দরে শ্লীলতাহানির (molestation) শিকার সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)। অভিযুক্ত খোদ কলকাতা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (Sub-Inspector)। ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক স্টিট পুলিশ স্টেশনে (Park Street Police Station)।…

molestation Civic Volunteer

থানার অন্দরে শ্লীলতাহানির (molestation) শিকার সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)। অভিযুক্ত খোদ কলকাতা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (Sub-Inspector)। ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক স্টিট পুলিশ স্টেশনে (Park Street Police Station)।

Advertisements

কলকাতা পুলিশের কর্মরত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার জানান, পূজোর পোশাক দেওয়ার নাম করে গভীর রাত প্রায় একটা দশ মিনিট নাগাদ রেস্ট রুমে ওই মহিলাকে ডাকেন সাব ইন্সপেক্টর। রাত নটায় ডিউটিতে যোগ দেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তিনি পার্ক স্ট্রিট থানায় কম্পিউটার সেকশনে কাজ করেন। রাত নটায় তিনি কাজে যোগদান করলেও রাত একটা সময় তাকে থানার তিন তলার রেস্ট রুমে ডাকা হয়। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন অভিযুক্ত ওই সাব ইন্সপেক্টর। সালোয়ার কামিজ দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির করা হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ডিউটি অফিসার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন বলেও নিগৃহীতার তরফে জানানো হয়েছে। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ওই নিগৃহীতার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর। এরপর ওই নিগৃহীতা সিভিক ভলেন্টিয়ার জাতীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

আরজিকর কাণ্ডে মূল অপরাধী হিসেবে এখনো পর্যন্ত নাম জড়িয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়। ঘটনার পর থেকেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। এবার কর্মরত অবস্থায় থানার অন্দরে শারীরিক নির্যাতনের শিকার মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার। পোশাক দেওয়ার থাকলেও কেন ওই মহিলাকে রাত একটা সময় রেস্ট রুমে ডেকেছিলেন অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর? সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে পরিবারের তরফে দাবি। যে কারণে তারা স্পিড স্পষ্টের মাধ্যমে নবান্ন ও কলকাতা পুলিশ কমিশনার কে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই মহিলার সরকারি হাসপাতালে মেডিকেল টেস্ট হয়েছে, সেই রিপোর্টও পরিবারের কাছে আছে বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। ওই মহিলা ২০১৭ সালে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কাজে যোগ দেন। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থাকায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কাজকর্ম সামলাতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।