হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় (Howrah Kharagpur line) যাত্রীদের জন্য চরম দুর্ভোগ আসতে চলেছে। এপ্রিল মাসের শেষে এই শাখায় মেগা ব্লক নেওয়া হবে। এতে প্রায় ১৯ দিনে বাতিল হবে ২১২টি লোকাল ট্রেন। সেই সঙ্গে বাতিল থাকবে ৬৪টি এক্সপ্রেস ট্রেনও। এই মেগা ব্লকের কারণে যাত্রীদের জন্য এক চরম ভোগান্তির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যাদের দৈনন্দিন যাত্রা এই রুটে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্রিলের শেষ থেকে হাওড়া-খগড়পুর শাখার (Howrah Kharagpur line) সাঁতরাগাছিতে ইয়ার্ডের রি-মডেলিংয়ের কাজ শুরু হবে। এই কাজের জন্য প্রি-এনআইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজও করা হবে। যা রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের খগড়পুর ডিভিশনে এই মেগা ব্লক নেওয়া হয়েছে। মূলত, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, পাশাপাশি দোলযাত্রার কারণে ব্লকটি পিছিয়ে ৩০ এপ্রিল থেকে নেওয়া হচ্ছে। তবে এই সময়টা মোটেও সুবিধাজনক হবে না। কারণ, এপ্রিল মাসে প্রচণ্ড গরম থাকে, তার ওপর যাত্রীদের ভিড় বাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
রেল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, এই ১৯ দিনব্যাপী মেগা ব্লকের কারণে ২১২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হবে। এর মধ্যে ২ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ৬৪টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল থাকবে। এই সময়ে কিছু দূরপাল্লার ট্রেন অনিয়মিত সময়ে চলবে। ৩ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ১২টি জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন স্বল্প দূরত্বে চলবে।
এই বাতিল ট্রেনগুলির কারণে যাত্রীদের প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ, যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য যেগুলি ট্রেন চলবে, সেগুলিতে ভিড় হবে। বিশেষত, যারা প্রতিদিনের কাজের জন্য এই ট্রেনগুলি ব্যবহার করেন, তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন। গরমের দিনে ট্রেনে ভিড় বাড়লে যাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠবে। যাত্রীদের ঠাসা ভিড়ে নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খগড়পুরের সিনিয়র ডিসিএম অলোক কৃষ্ণ জানিয়েছেন, জিএম পর্যায়ে ব্লক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষণার পরই আরও বিস্তারিত জানানো হবে। রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যাত্রীদের কষ্ট লাঘবের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও, তাতে তেমন কোনও বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে না।
এই মেগা ব্লক ও ট্রেন বাতিলের কারণে যাত্রীদের যাতায়াতে বেশ বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে চলেছে। যে কারণে অনেক যাত্রী এখন থেকেই আতঙ্কিত। তারা ভাবছেন, যেভাবে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে তারা কি স্বাভাবিকভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন?
একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির জন্য তারা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত কোনও বিকল্প ব্যবস্থা আশা করছেন। বিশেষ করে, যাদের জরুরি কাজে যাওয়া প্রয়োজন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত। যাত্রীদের সুবিধার্থে রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রেন বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে অনেকে আশাবাদী।