‘নারীবিদ্বেষী’ মন্তব্যে কল্যাণ-মদনকে বিঁধলেন মহুয়া মৈত্র

কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি  (Mahua Maitra) বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেছিলেন, “একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ…

MP Mahua Moitra Condemns Controversial Statements Made by Kalyan Bandopadhyay and Madan Mitra"

কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি  (Mahua Maitra) বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেছিলেন, “একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে, তাহলে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে? কলেজের ভিতরে কী পুলিশ ঢুকবে? নিরাপত্তা তো সহপাঠীদেরই দিতে হবে।” তাঁর এই মন্তব্যে যে কেবল নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে মনোযোগের অভাব ছিল, তা নয়, বরং (Mahua Maitra) অপরাধের জন্য কোনো দায়-দায়িত্ব নেয়া হয়নি। এর ফলে একদিকে যেমন নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, অন্যদিকে তিনি প্রকৃত সমস্যাটির দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ না করে, সাধারণ মানুষের কাছেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন(Mahua Maitra) 

মদন মিত্রের বিতর্কিত মন্তব্(Mahua Maitra) 

   

অন্যদিকে, মদন মিত্রও কসবা কাণ্ড নিয়ে(Mahua Maitra) একটি অত্যন্ত বিরক্তিকর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। ওখানে যাওয়ার আগে যদি জানিয়ে যেত অথবা সঙ্গে দু’চারজন বন্ধুকে নিয়ে যেত, তা হলেও এই ঘটনা ঘটত না।”(Mahua Maitra) মদন মিত্রের এই মন্তব্য কেবল নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায় চাপানো ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁর বক্তব্য এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিস্থাপন করে, যেখানে নারীদের নিজেদের নিরাপত্তা(Mahua Maitra) নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, যখন আসল দায়িত্ব অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার।

মহুয়া মৈত্রের প্রতিবা(Mahua Maitra) 

মহুয়া মৈত্র তৃণমূলের দুই নেতার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে(Mahua Maitra) সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলে বলেন, “ভারতে নারীবিদ্বেষ কোনো একক রাজনৈতিক দলের সীমানায় আটকে নেই। তবে বাকিদের থেকে তৃণমূলের পার্থক্য হলো, তারা এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে, বক্তা যে-ই হোক(Mahua Maitra) না কেন।” মহুয়া মৈত্র স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে রয়েছেন এবং কোনোভাবেই এসব প্রতিবাদ করা যাবে না।

Advertisements

তবে মহুয়ার এই বক্তব্য দলের পক্ষ থেকে উষ্মার সৃষ্টি করলেও,(Mahua Maitra) মহুয়া নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি আরও বলেন, “নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। সেই প্রতিবাদে যদি দলের পক্ষ থেকে সরাসরি সমর্থন না আসে, তবে আমাদের দায়িত্ব অন্যভাবে ব্যক্তিগতভাবে পালন করতে হবে।(Mahua Maitra) 

তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা(Mahua Maitra) 

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যখন এই দুই নেতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া হয়, তখন দলের অভ্যন্তরে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একটি দলের শীর্ষ নেতার কাছ থেকে(Mahua Maitra) এমন ধরনের মন্তব্য নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মান সম্পর্কে সাংঘাতিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দলের নীতি অনুযায়ী এই ধরনের মন্তব্যের কোনো স্থান নেই। তবে মহুয়া মৈত্রের প্রতিবাদ দলের রাজনৈতিক জটিলতা আরও বাড়িয়েছে, কারণ তিনি তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন(Mahua Maitra) 

সমাজে নারীর নিরাপত্তা এবং তৃণমূলের ভূমিক(Mahua Maitra) 

কসবা কাণ্ডের মতো ঘটনা নারীর নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। যেখানে একদিকে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ ঘটে, সেখানে অন্যদিকে শাসক দল থেকে এমন মন্তব্য আসা প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক নেতারা কিংবা শাসক দল নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শুধুমাত্র পুলিশ বা প্রশাসনকে দোষারোপ করা উচিত নয়; সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, সমতা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সর্বাধিক প্রয়োজন।(Mahua Maitra)