আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের ভূমিকায় আঘাত হানতেই পাঁচ দেশের সফরে অভিষেক

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক ও (Abhishek Banerjee)  কূটনৈতিক অবস্থান বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এবার এশিয়ার পাঁচটি দেশে বহুদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ভারত সরকার। সেই প্রতিনিধি…

Abhishek Banerjee to Represent TMC in Delegation Touring 5 Countries

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক ও (Abhishek Banerjee)  কূটনৈতিক অবস্থান বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এবার এশিয়ার পাঁচটি দেশে বহুদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ভারত সরকার। সেই প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হিসেবে জাপান সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ (Abhishek Banerjee)  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালেই তিনি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, সেখান থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সফরে যাত্রা করবেন।

অপারেশন সিঁদুর: পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদতের জবা(Abhishek Banerjee)  

গত ৭ মে কাশ্মীরের পহেলগাঁও অঞ্চলে এক জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা (Abhishek Banerjee)  চালায় একটি বড়সড় সামরিক অভিযান — অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারত বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই অপারেশন শুধুমাত্র জঙ্গি (Abhishek Banerjee)  ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। পাকিস্তানের সেনা ছাউনির কোনও(Abhishek Banerjee)  পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি, এবং সাধারণ নাগরিকদেরও কোনওভাবে নিশানা করা হয়নি।

   

ভারতের এই মানবিক এবং সুনির্দিষ্ট অভিযানের বার্তা (Abhishek Banerjee)  আন্তর্জাতিক মহলে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই বিদেশ সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল। তারা দেখাবে কিভাবে পাকিস্তান(Abhishek Banerjee)  আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদের মদত দিয়ে যাচ্ছে, এবং কীভাবে ভারত তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিনিধি দলে তৃণমূলের অবস্থান ও অভিষেকের অন্তর্ভুক্তি

প্রথমে এই প্রতিনিধি দলে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্র। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস(Abhishek Banerjee)  স্পষ্ট করে জানায়, দলের সঙ্গে (Abhishek Banerjee)  আলোচনা না করে কোনও সাংসদকে প্রতিনিধি দলে রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিতে পারে না। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধি কে যাবেন, তা দলই ঠিক করবে, কেন্দ্র নয়।”

Advertisements

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)  একই সুরে বলেন, “কেন্দ্র অনুরোধ করলে তৃণমূল তা বিবেচনা করবে, কিন্তু সিদ্ধান্ত তৃণমূল নিজেই নেবে।” এই অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতেই ইউসুফ পাঠানকে বাদ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়।

সফরের গুরুত্ব ও বার্তা(Abhishek Banerjee)  

এই সফরের মাধ্যমে ভারত যে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী(Abhishek Banerjee)  অবস্থানে একপ্রকার নৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে চায়, তা স্পষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের মত এক আঞ্চলিক দল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রভাবশালী নেতার অন্তর্ভুক্তি কেন্দ্রের কূটনৈতিক প্রয়াসকে আরও (Abhishek Banerjee)  বহুমাত্রিক করে তুলেছে। একইসঙ্গে এটি রাজনৈতিকভাবে একটি বার্তাও— জাতীয় স্বার্থে দলগত সীমার বাইরে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়া যেতে পারে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)  এই সফর শুধু এক জন সাংসদের বিদেশভ্রমণ নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক প্রয়াস, যার মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক মহলে তার অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরতে চায়। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ভারতের ভূমিকা এবং মানবিকতা বজায় রেখে সামরিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরা আজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই দিক থেকে অভিষেকের নেতৃত্বে এই সফর এক অর্থে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং কৌশলগত— তিনটি দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।