বইবে ৪০-৫০ কিমি বেগে হাওয়া, ছুটির দিনে দফায় দফায় ভিজবে কলকাতা সহ এই জেলাগুলি

  কলকাতা শহর সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গবাসীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। তাপপ্রবাহ কাটিয়ে এখন বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলার মানুষের। তাপপ্রবাহ…

 

কলকাতা শহর সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গবাসীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। তাপপ্রবাহ কাটিয়ে এখন বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলার মানুষের। তাপপ্রবাহ নেই, তবে অস্বস্তিতে ভরা একটা আবহাওয়া বিরাজ করছে বাংলায়। যাইহোক, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকলের মুখে এখন প্রশ্ন, আজ রবিবার ২৩ জুন কী কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি নামবে?

   

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২১-২৭ জুন কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। আগামী দু’দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ রবিবার শহরের কিংবা জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি না হলেও স্বস্তি দেওয়ার মতো বৃষ্টি হবে খানিকটা। অর্থাৎ আজও অল্পেতেই খুশি থাকতে হবে সকলকে। আজ বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রাও বেশ খানিকটা কমবে বলে জানিয়েছে আলিওয়ার অবহাওয়া দফতর।

আজ রবিবার অল্প করে হলেও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলি হল কলকাতার সঙ্গে হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া। সেইসঙ্গে বইবে ৩০-৪০ কিমি বেগে হাওয়া।

দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা দেরিতে ঢুকলেও উত্তরবঙ্গে সময়ের অনেক আগেই বর্ষা ঢুকে যায়। প্রত্যেকদিনই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। আইএমডি জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলার ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকেছে। যে কারণে দফায় দফায় সেখানে বৃটি হচ্ছে। এসিকে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে বর্ষার জেরে বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তর সিকিমে এখনো বহু পর্যটক আছেন যারা আটকে আছেন।