শনিতেই কি শাপমুক্তি? কবে আসছে বর্ষা? অবশেষে জানাল হাওয়া অফিস

প্যাচপ্যাচে গরমে অবস্থা কাহিল রাজ্যবাসীর। তারমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। কিন্তু কথা মতো শুক্রবার খুশির খবর দিল হাওয়া অফিস। আপাতত শনিবারে রাজ্যে শেষ…

weather

short-samachar

প্যাচপ্যাচে গরমে অবস্থা কাহিল রাজ্যবাসীর। তারমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। কিন্তু কথা মতো শুক্রবার খুশির খবর দিল হাওয়া অফিস। আপাতত শনিবারে রাজ্যে শেষ হচ্ছে তাপপ্রবাহের সমস্ত স্পেল। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা।

   

শুক্রবার বিকালের বুলেটিনে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বর্ষা আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। পাশাপাশি, শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ বন্ধ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আবহবিদেরা। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং বিহারের কিছু অংশে অগ্রসর হতে পারে। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বাকি জায়গায় বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তবে তার আগে প্রাক্‌-বর্ষার বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ ভিজতে পারে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রাক্‌-বর্ষার কারণে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

গত কয়েক দিন প্রবল বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলাগুলিতে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ধস নেমেছে পাহাড়ে। সিকিমে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। ক্রমশ বাড়ছে তিস্তার জল। এর মাঝে শুক্রবারও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই তিন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দার্জিলিং এবং কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।