নিয়ম না মানায় বাংলাকে টাকা পাঠানো বন্ধ করল কেন্দ্র, মাথায় হাত সরকারের

লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই রীতিমতো কপাল পুড়ল দেশের তিন রাজ্যের। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ইচ্ছাপ্রকাশ না করার মাশুল গুণতে হল বাংলা সহ…

Kerosen consumption sees a remarkable rise in West Bengal, with the Center sending a letter to the state raising concerns over misuse

লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই রীতিমতো কপাল পুড়ল দেশের তিন রাজ্যের। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ইচ্ছাপ্রকাশ না করার মাশুল গুণতে হল বাংলা সহ তিন রাজ্যকে।

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী স্কুল রাইজিং ইন্ডিয়া প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহী না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রক দিল্লি, পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গের ফ্ল্যাগশিপ স্কুল শিক্ষা কর্মসূচি সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অধীনে টাকা পাঠানোই বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। আগামী পাঁচ বছরে ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেটের এই প্রকল্পে কেন্দ্রের উপর ৬০ শতাংশ এবং রাজ্যগুলির উপর ৪০ শতাংশ আর্থিক বোঝা থাকে।

   

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য কমপক্ষে ১৪,৫০০ সরকারি স্কুলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে শিক্ষা মন্ত্রকের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। যদিও এই কাজটি করেনি তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ বলে অভিযোগ। পরের দিকে এই বিষয়ে তামিলনাড়ু এবং কেরালা নিজেদের সহমত পোষণ করলেও বেঁকে বসে দিল্লি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে কেন্দ্রের তরফে এই তিন রাজ্যকে বিগত কয়েক মাসের টাকাই পাঠানো হয়নি।

চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের তহবিলও মেলেনি বলে তিন রাজ্য জানিয়েছে। দিল্লি এখনও ৩৩০ কোটি টাকা পায়নি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ উল্লিখিত তিন ত্রৈমাসিকের জন্য যথাক্রমে ৫১৫ কোটি এবং ১০০০ কোটি টাকা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন এসএসএ-র তহবিল ছাড়ার জন্য মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন বলে জানা গেছে। দিল্লি সরকারও কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দাবি, পিএম-শ্রী প্রকল্প রূপায়ণ না করে রাজ্যগুলি এসএএ-র আওতায় অর্থ গ্রহণ করতে পারে না।