আলিপুর আদালতে পেশ করা হল মিনি ফিরোজকে

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: গুলশান কলোনির (Alipore Court) রণক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুলি এবং বোমাবাজির ঘটনার মূল চক্রান্তকারী মোহাম্মদ ফিরোজ, যিনি ‘মিনি ফিরোজ’ নামে পরিচিত,…

mini firoz in Alipore Court

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: গুলশান কলোনির (Alipore Court) রণক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুলি এবং বোমাবাজির ঘটনার মূল চক্রান্তকারী মোহাম্মদ ফিরোজ, যিনি ‘মিনি ফিরোজ’ নামে পরিচিত, অবশেষে পুলিশের জালে পড়লেন। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা ফিরোজকে সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।

বিচারক তাঁকে পুলিশ কাস্টডিতে রেমান্ড করেছেন, যাতে আরও তদন্ত এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়গুলি উন্মোচিত হতে পারে। এই গ্রেফতার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নকে নতুন করে তুলে ধরেছে, যেখানে বিজেপি নেতারা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর আনন্দপুরের গুলশান কলোনিতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকাটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়।

   

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ফিরোজের গ্যাং সদস্যরা বাইক ভাঙচুর, দোকান মালিকদের মারধর এবং দেশীয় তৈরি বোমা ছুঁড়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এক তরুণীর দিকে গুলি চালানো হয়েছে, যা অল্পের জন্য লাগেনি। ঘটনা শুরু হয় দুপুর ২টায় এবং পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে।

রাত ৩টায় আরও এক রাউন্ড বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ফিরোজের প্রভাব কমানোর চেষ্টায় স্থানীয় ট্রেডিং সিন্ডিকেটগুলি তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে, যা কনস্ট্রাকশন এবং অটো সেক্টরকেও প্রভাবিত করেছে। ফিরোজের রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও ২০২২ সাল থেকে তার আধিপত্য কমে আসছিল।

Advertisements

পুলিশের তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, ফিরোজ বোমাবাজির পরিকল্পনা করে শহর ছেড়ে দিল্লিতে লুকিয়ে পড়েন। তাঁর মোবাইলে সিম কার্ড ব্যবহার না করে শুধু ওয়াই-ফাই কলিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করায় লোকেশন চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট গোপন সূত্র থেকে খোঁজখবর নেয় এবং অবশেষে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেখে ফিরোজের লোকেশন ধরতে সক্ষম হয়।

ছিল বড় নাশকতার ছক! এনকাউন্টারে খতম ২ নকশাল

২১ সেপ্টেম্বর রাতে দিল্লির একটি আড্ডা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে—মোহাম্মদ সাজিদ (ফিরোজের ডানদিকের হাত), আহমেদ হোসেন (মোহাম্মদ মধু), রাজা খান এবং মোহাম্মদ আম্বর (নাফিস)। তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি পিস্তল, ৭ মিমি পিস্তল এবং লাইভ কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ১০৯/৩(৫)/৩২৪(২)/৩৫১(৩) ধারা, অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারা এবং পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক অর্ডার আইনের ৯ ধারায় দায়ের করা হয়েছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News