দোল পূর্ণিমা ও হোলি একসঙ্গে পড়ার কারণে শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর সময়সূচিতে বড়সড় পরিবর্তন আসছে। এই বিশেষ দিনে মেট্রোর পরিষেবা সকাল থেকে চলবে না। তবে, দুপুর পৌনে তিনটের পর থেকে মেট্রো পরিষেবা আবার চালু হবে। যদিও দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ রুটের শেষ মেট্রোর সময় বদলাবে না, তবে অন্য রুটে চলাচল করা মেট্রোর সংখ্যা এবং সময়সূচি কিছুটা কমে যাবে।
এই পরিবর্তনটি যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণেই করা হয়েছে, কারণ দোল পূর্ণিমা এবং হোলি দিনকে উপলক্ষ্য করে সাধারণত অধিকাংশ অফিস, স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকে। ফলে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকে, যার ফলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে চলেছে।
এদিন, দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো দুপুর আড়াইটে নাগাদ ছাড়বে, এবং কবি সুভাষ থেকেও প্রথম মেট্রো একই সময়ে রওনা হবে। এই সময়সূচি দুটি রুটের জন্য একসঙ্গে থাকবে। তবে, অন্য রুটগুলোর মতো, দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুটে শেষ মেট্রোর সময় বদলাবে না। প্রতিদিন এই রুটে মোট ২৬২টি মেট্রো চলাচল করে, কিন্তু দোল এবং হোলির দিন মাত্র ৬০টি মেট্রো চলবে।
এসপ্ল্যানেড-হাওড়া রুটেও পরিষেবা কিছুটা কম থাকবে। ওই দিন এই রুটে মোট ৪২টি মেট্রো চলবে, যা স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেক কম। দু’দিক থেকেই প্রথম মেট্রো চলবে বেলা তিনটেয়। শেষ মেট্রো রাতে পৌনে ন’টার বদলে রাত ৮টায় চলাচল করবে। মেট্রো চলাচল হবে ১৫ মিনিট অন্তর, যা দৈনিক পরিষেবার তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীদের সুবিধার্থে এই নতুন সময়সূচি প্রযোজ্য হবে দোল পূর্ণিমা ও হোলি উৎসবের দিন। মেট্রোর সংখ্যা কম হলেও, যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। তবে, মেট্রো যাত্রীদের যাত্রার আগে সময়সূচি চেক করে বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ এই বিশেষ দিনে নির্দিষ্ট রুটের সময়সূচি পরিবর্তিত হবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, সাধারণত দোল পূর্ণিমা ও হোলির দিন যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় সময়সূচিতে এই ধরনের পরিবর্তন করা হয়, যাতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং সময়ের অপচয় কমানো যায়। এক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্যও সুবিধাজনক হবে, কারণ কম যাত্রী নিয়ে মেট্রো পরিষেবা চালু থাকবে এবং ট্রেনগুলো কিছুটা আরামদায়কও হবে।
কলকাতার মেট্রো নেটওয়ার্কের মধ্যে, বিশেষ করে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষ রুটটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও, অন্যান্য রুটগুলিতেও যাত্রীদের সুবিধা মেটাতে এই ধরনের পরিবর্তনগুলো করা হয়ে থাকে। এবারের দোল পূর্ণিমা ও হোলি উপলক্ষে মেট্রো কর্তৃপক্ষ আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যাতে যাত্রীরা কোনও অসুবিধায় পড়েন না।