Nilganj Blast: মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের মদতেই নীলগঞ্জের মতো বিস্ফোরণ ঘটছে: সেলিম

ভয়াবহু বিস্ফোরণের পর নীলগঞ্জের বেশিরভাগ বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল জড়িত। খাদ্যমন্ত্রী এলাকায় তোলা আদায় করতেন। তিনি বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে জানতেন। এমন অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে সিপিআইএম…

ভয়াবহু বিস্ফোরণের পর নীলগঞ্জের বেশিরভাগ বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল জড়িত। খাদ্যমন্ত্রী এলাকায় তোলা আদায় করতেন। তিনি বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে জানতেন। এমন অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন। রবিবার প্রবল বিস্ফোরণের পর সোমবার নীলগঞ্জ যান মহম্মদ সেলিম সহ সিপিআইএম উত্তর ২৪ পরগনা জেনা নেতৃত্ব।

নীলগঞ্জের বিস্ফোরণস্থলেই তিনি জানান, যারা বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে সরব ছিল তাদেরকে তৃণমূল ও পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। গোটা রাজ্যেই পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন মদতে এমন ঘটনা ঘটছে। মহম্মদ সেলিম বিস্ফোরণস্খলে আসতেই এলাকাবাসী তাঁর কাছে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সেলিমের সাথে ছিলেন জেলার বাম শ্রমিক নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতারা। সেলিমকে সাথে নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরিয়ে দেখান

   

রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় নীলগঞ্জে। এলাকাবাসীর দাবি দশ জন নিহত। সরকারি হিসেবে ৯ জন মৃত। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে পড়ে। আসে পাশের বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল ধরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে চলছিল বেআইনি বাজি কারখানা। আরও অভিযোগ, বাজির আড়ালে বোমা তৈরি করা হতো। এলাকা ঘুরে মহম্মদ সেলিম বলেন, তৃণমূলের এক নেত্রী দোলা সেনের উস্কানিতে এই কাজ চলছিল।

ইতিমধ্যেই নীলগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। এবং মৃত ব্যক্তি যে মূল অভিযুক্ত গতকাল তার মৃত্যু হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি সেই কেরামত আলির সঙ্গী সফিক আলি। তাকে আজ বারাসাত আদালতে পেশ করা হবে। গতকাল ঘটনাস্থলে এমন পাঁচজন কর্মচারী ছিল যারা মুর্শিদাবাদ থেকে এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন মৃত ব্যক্তির পরিচয় ইতিমধ্যে সনাক্ত করা গিয়েছে। তবে বাকি তিন জনের পরিচয় এখনো পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি।