আচমকাই রাজ্যে MBBS-র ভর্তি স্থগিত, অনিশ্চিত হাজার-হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ

Swasthya Bhaban: রাজ্যে আচমকা বন্ধ হয়ে গেল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অর্থাৎ এমবিবিএস, বিডিএস কোর্সে এখন কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে…

Swasthya Bhawan

Swasthya Bhaban: রাজ্যে আচমকা বন্ধ হয়ে গেল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অর্থাৎ এমবিবিএস, বিডিএস কোর্সে এখন কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। এই পদক্ষেপের ফলে অনিশ্চয়তার মুখে NEET উত্তীর্ণরা। এরপর আবার কবে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ডাক্তারি কোর্স শুরুর সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে রয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।

Advertisements

মনে করা হচ্ছে ওবিসি জটের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত ডাক্তারির ক্ষেত্রে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ডেন্টাল-সহ এমবিবিএস-এর ভর্তি প্রক্রিয়াতেও কাউন্সিলিং অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় বিভিন্ন পড়ুয়া ও মেডিক্যাল সংগঠনগুলি।

   

কী বলা হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তিতে? বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী NEET-এ উত্তীর্ণদের এমবিবিএস ও বিডিএস, এমডিএস অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে কিছু আইনি জটলতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওবিসি সংরক্ষণ সার্টিফিকেট নিয়ে আইনি জট এখনও কাটেনিন এবং বিষয়টি বিচারাধীন। মনে করা হচ্ছে এই কারণেই ডাক্তারিতে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওবিসি নিয়ে এই জটিলতার কারণে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফলও প্রকাশ করা যায়নি। হয়ত মামলার জটিলতা কাটার অপেক্ষায় কর্তৃপক্ষ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

কয়েক সপ্তাহ আগে শুরু হয় এমবিবিএস ও বিডিএস অর্থাৎ ডেন্টালের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দাখিলের কাজ (প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়) রবিবার রাতে সম্পন্ন হয়। এর ভিত্তিতে বুধবার ফলপ্রকাশের কথা ছিল। রাজ্যে রয়েছে ৫ হাজারের বেশি আসন। এই আসনের জন্য চয়েজ ফিলিং বা পছন্দ মতো নাম দাখিলের হিসেব অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হন ১১ হাজার পড়ুয়া। এমন পর্যায়ে এসে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া। ফলে, অনিশ্চিত এই ১১ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। উল্লেখ্য, ডাক্রারি পড়ুয়াদের ভর্তি, বার্ষিক পরীক্ষা, সব কিছু দেশজুড়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা এনএমসি’র গাইডলাইন প্রায় একই সময় হয়। তবে স্বাস্থ্য ভবনের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে গোটা প্রক্রিয়া থেকে দেশের অন্যান্য রাজ্য়গুলির তুলনায় পিছিয়ে পড়বে বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা বলেই মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বহু পড়ুয়ার রাজ্যের বাইরে পাড়ি দেওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।