বিপুল কালো টাকা লেনদেনের সূত্র, অনুব্রতর জন্য তৈরি হচ্ছে ইডি

গোরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই সমস্ত তথ্য প্রমাণকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। অন্যদিকে এই মামলায় তদন্তভার নেওয়ার জন্য সমস্ত নথি তৈরি করছে ইডি৷

Advertisements

ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। নজরে রয়েছে একাধিক রাইস মিল। ভিন রাজ্যে অনুব্রতর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। বুধবার শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হেফাজতের শেষ দিন। এরপর তাকে হেফাজতে নিতে চলেছে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সায়গলের বিপুল সম্পত্তি দেখেই সিবিআইয়ের নজর গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির দিকে। একইসঙ্গে গোরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা একাধিক অভিযুক্তদের লিখিত বয়ানে উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম৷ তাই সিবিআইয়ের চার্জশিটেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল৷ এমনকি আদালতের কাছেও সিবিআই দাবি করে গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি যুক্ত।

Advertisements

ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক আত্মীয়দের নামে বিপুল সম্পত্তি মিলেছে। বিশেষ করে নাম জড়িয়েছেন কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরন গায়েনের। তাঁদের নামে দুটি সংস্থার খোঁজ পেতে আরও সুবিধা হয়েছে ইডির। এমনকি একাধিক সংস্থার নামে বিপুল টাকা বিদেশে পাচারের খোঁজ মিলতেই তৎপর হয়েছে ইডি। গোটা বিষয়টিকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।