সাতসকালে হাওড়ার আলমপুরে ঘটে গেল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।(Howrah fire broke) এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোঁয়া, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে, অন্যান্য দিনের মতোই কাজHowrah fire broke চলছিল এলাকার একটি পুরনো পিচ কারখানায়। আচমকাই সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। স্থানীয়রা প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো কোনো যন্ত্রপাতি থেকে সাধারণ ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিন্তু ধীরে ধীরে তা ঘন হয়ে উঠলে এবং আগুনের লেলিহান শিখা চোখে পড়তেই তাঁরা বুঝে যান, বিষয়টি গুরুতর। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায় ও দমকল বিভাগে।Howrah fire broke
প্রথমে একটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু আগুনের তীব্রতাHowrah fire broke ও বিস্তার দেখে দ্রুত আরও ইঞ্জিন ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে মোট চারটি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছায় কারখানায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের প্রচণ্ড তাপে দমকলকর্মীদের কার্যত প্রাণপণ লড়াই করতে হচ্ছে।Howrah fire broke
এই কারখানাটি বহু পুরনো। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে পিচ প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের কাজ চলত। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় এমনিতেই এই ধরনের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি (Howrah fire broke) বেশি থাকে। দমকল সূত্রে খবর, ভিতরে থাকা রাসায়নিক ও তেলের ড্রাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের সূত্রপাত ঠিক কোথা থেকে এবং কীভাবে তা এতটা বিধ্বংসী আকার নিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।Howrah fire broke
প্রাথমিকভাবে দমকল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এটি একটি শট সার্কিটের ফলেও হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পরই প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দমকল অধিকারীদের বক্তব্য, “যতক্ষণ না আগুন সম্পূর্ণ আয়ত্তে আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত শুরু করা সম্ভব নয়। তবে কারখানার যে অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেই অংশটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”(Howrah fire broke)
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকায়। অনেক বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অনেকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভাবতে পারেননি এত সকালে এই ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। কারখানার কাছাকাছি থাকা বেশ কিছু ছোট দোকান ও বসতি এলাকাও ধোঁয়ার কবলে পড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।(Howrah fire broke)
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা আচমকাই ঘন ধোঁয়া দেখতে পাই। এরপর দেখি কারখানার ভিতর থেকে আগুনের শিখা বেরোচ্ছে। সবাই ভয় পেয়ে যায়। আমরা দমকলকে ফোন করি। খুব ভয়ংকর অবস্থা।”(Howrah fire broke)
এখনও পর্যন্ত দমকলকর্মীরা টানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য(Howrah fire broke) । ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এলাকার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা হয়েছে। দমকলের একটি সূত্র জানায়, আগুন যাতে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য আলাদা কৌশলে কাজ চলছে(Howrah fire broke)
এই ঘটনার ফলে কারখানার একটি বড় অংশ ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মালিকপক্ষের তরফ থেকেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে(Howrah fire broke)
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দমকল কর্মীরা এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হবে আগুন সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার পর।(Howrah fire broke)