কলকাতার কাছেই মাওবাদী পোস্টার, গ্রেফতার নেত্রী–সহ ৭ মাওবাদী নেতা

কলকাতার উপকণ্ঠে খড়দহ স্টেশন চত্বরে মাওবাদী পোস্টার। মঙ্গলবার রাতে চার যুবক খড়দহ রেল স্টেশন চত্বরের বিভিন্ন দেওয়ালে মাওবাদী পোস্টার সাঁটিয়ে দেয়। এই পোস্টারগুলিতে ভারতের বিভিন্ন…

কলকাতার উপকণ্ঠে খড়দহ স্টেশন চত্বরে মাওবাদী পোস্টার। মঙ্গলবার রাতে চার যুবক খড়দহ রেল স্টেশন চত্বরের বিভিন্ন দেওয়ালে মাওবাদী পোস্টার সাঁটিয়ে দেয়। এই পোস্টারগুলিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাওবাদী আন্দোলনকারীদের উপর সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

বিপ্লবী কৃষক যোদ্ধাদেরও সমর্থন জানানো হয়েছে এই পোস্টারগুলিতে। পোস্টারের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের প্রতি সমর্থন ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। ছত্রিশগড়, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিপ্লবী কৃষক যোদ্ধাদের উপর সরকারের অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, এই অঞ্চলের সরকারী বাহিনী কৃষক আন্দোলনকারীদের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের হত্যার চেষ্টা করছে। মানুষকে এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বস্তার ও আবুঝমার-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিপ্লবীদের রক্তে ভেজা পথে এগিয়ে চলতে হবে। লালকালিতে লেখা ওই পোস্টারের নিচে লেখা রয়েছে মার্কসবাদী লেলিনবাদী মাওবাদী সংগঠন।

   

পোস্টার সাঁটানোর পর যুবকরা ট্রেনে উঠে চলে যায়। এর পরই স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলে। শুরু হয় তদন্ত। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করে এবং ঘটনার তদন্তে অংশ নেয়। পুলিশ সন্দেহভাজনদের ধরার জন্য অভিযান চালায়। বুধবার সকালে রহড়া থানার পুলিশ রহড়ার একটি আবাসনে অভিযান চালায়। সেখান থেকে মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে তারা। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা মাও নেত্রীও রয়েছেন। গ্রেপ্তারির সময়ও তারা স্লোগান দিতে থাকে।

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেকেই মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্য। তাদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের কলকাতা বা তার আশপাশে কোনো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেও, এই আন্দোলনের প্রসার কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।