টলিপাড়া টালমাটাল! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে প্রসেনজিৎ এবং দেব

দুদিন ধরে বন্ধ টলিপাড়ার ঝাঁপ। দফায় দফায় মিটিং করেও লাভ হয়নি। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দায় সেরেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশ পেয়েই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব এবং গৌতম ঘোষ। আশা করা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরেই জট কাটতে পারে।

Advertisements

Mamata Banerjee: ‘অপদার্থ সরকার’, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার

প্রসঙ্গত ফেডারেশনের তরফে অভিযোগ ছিল, পরিচালকদের একাংশ ‘ষড়যন্ত্র’ করে সোমবার শুটিং বন্ধ করেছেন। এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘পরিচালকেরা কাজে আসেননি। কিন্তু আমরা অন্য কোনও বিভাগকে কাজে না আসার জন্য অনুরোধ করিনি।’

৭৫ লাখের প্যাচওয়ার্ক ‘ভ্যানিশ’! দিশাহারা পুলিশের চিঠি ফিরহাদকে

Advertisements

অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চাইছেন পরিচালকেরা। এ দিকে ফেডারেশনও আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। কিন্তু সমস্যা না মিটলে কর্মবিরতি চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘এক দিন, দু’দিন থেকে সাত দিন হতে পারে। কিন্তু সমস্যা না মিটলে এই কর্মবিরতি চলবে।’ ফলে মঙ্গলবারও যে টলিপাড়া কার্যত স্তব্ধ থাকবে, তার ইঙ্গিত মিলে গেল সোমবার রাতেই।

বঙ্গ বিজেপির হাল ফেরাতে দিলীপ ঘোষেই আশা দেখছে দিল্লি

সোমবার সন্ধ্যায় সিভিএসএসডব্লিউএ (সিনে ভিডিয়ো অ্যান্ড স্টেজ প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন)-এর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে সংগঠনের সদস্যেরা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কার্যত ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগই তুলেছেন। সংগঠনের সম্পাদক, সৈকত দাসের নামে প্রকাশিত বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমরা ভেন্ডররা বিভিন্ন সময়ে ফেডারেশনের কিছু সদস্যের দ্বারা হুমকিপ্রাপ্ত হই, তাঁদের কথা মতো মাল সরবরাহ না করলে, তাঁকে নিষিদ্ধ করা হবে। মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নিষেধ সত্ত্বেও দিনের পর দিন এ সব চলে আসছে।”