কংগ্রেস ভবনে বিজেপির হামলায় নীরব ইন্ডি শরিক মমতা! সিপিএমের কটাক্ষ ‘মদত আছে’

প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে বিজেপির হামলার পর নীরব ইন্ডিয়া জোটের বড শরিক তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল শাসনে এমন ঘটনায় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য। রাজনৈতিক তরজা তীব্র। কলকাতায় প্রদেশ…

CM

প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে বিজেপির হামলার পর নীরব ইন্ডিয়া জোটের বড শরিক তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল শাসনে এমন ঘটনায় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য। রাজনৈতিক তরজা তীব্র।

কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা রাকেশ সিং ও তার সহযোগী কয়েকজন। দলীয় পতাকা নিয়ে তারা হামলা চালান। কংগ্রেস ভবনের বাইরে থাকা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি মাখান তারা। ব্যানার ছিঁড়ে আগুন ধরানো হয়।

   

এই ঘটনার পরে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং অধরা। তার গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। আর প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি এই গুন্ডামি আমরা মানব না। মোকাবিলা করবে কংগ্রেস। সতর্ক থাকুক বিজেপি। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে আজ বিজেপি হার্মাদ বাহিনীকে রাস্তায় নামিয়েছে। আমাদের প্রদেশ দফতর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে থানা, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন নিশ্চুপ, নিষ্ক্রিয়, মূকদর্শক। দিদির পুলিশের কাছে দাবি, শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।কংগ্রেসকে এভাবে ইংরেজরাও আটকাতে পারেনি, তাই বিজেপি এসব গুণ্ডা-মাস্তান না পাঠিয়ে ,জবাব দিক—ভোট চুরি কেন হচ্ছে?

Advertisements

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের শরিক তৃণমূল। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই জোটে নেই তৃণমূল। এরাজ্যে জোট কংগ্রেস ও সিপিআইএমের। হামলার প্রতিক্রিয়া সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, বিজেপি হলো তৃণমূলের ন্যাচারাল অ্যালিবাই। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, দুষ্কৃতী বাহিনী সংবাদমাধ্যমকে ডেকে হামলা করল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি লাগালো। এত সাহস পায় কোথা থেকে।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালে সিপিআইএম রাজ্য সদর দফতরে অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই সময় সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।