আরজেডি (রাষ্ট্রীয় জনতা দল) নেতা ও বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) এখন পুত্র সন্তানের গর্বিত বাবা। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী র্যাচেল (বর্তমানে রাজশ্রী) কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এই খুশির দিনে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনেরা।
এই আনন্দঘন মুহূর্তে নবজাতক ও তাঁর মাকে দেখতে কলকাতার হাসপাতালে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তেজস্বী যাদব ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি নবজাতকের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য শুভকামনা জানান। হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা এক আনন্দের খবর। তেজস্বী আমার খুব প্রিয়। ওর জীবনের এই নতুন অধ্যায় খুব সুন্দর হোক, এই কামনাই করি।”
তেজস্বী যাদবও মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে বলেন, “মমতা দিদির আশীর্বাদ আমাদের পরিবারে এক আলাদা শক্তি এনে দিয়েছে। মা ও ছেলে দু’জনই সুস্থ আছে। আমরা খুবই খুশি।”
তেজস্বী যাদবের রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও বহুবার শিরোনামে এসেছে। ২০২১ সালে তিনি নিজের দীর্ঘদিনের বান্ধবী র্যাচেলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি হিন্দু রীতিনীতি মেনে রাজশ্রী নামে নতুন নাম গ্রহণ করেন। এই দম্পতির প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ায় বিহার ও দেশের অন্যান্য অংশে আরজেডি কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
বিহারের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তেজস্বী যাদব একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁর নেতৃত্বে আরজেডি নতুন শক্তি পেয়েছে। বিহারের রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝে এই পারিবারিক সুখবর তাঁর অনুগামীদের মনেও এক রকম প্রশান্তি এনেছে। রাজনীতির কৌশলী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত তেজস্বী এখন পিতৃত্বের নতুন ভূমিকায় পা রাখলেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে দুই রাজ্যের মধ্যে সৌহার্দ্য ও আন্তরিক সম্পর্কেরও একটা চিত্র ফুটে উঠল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা সফর স্পষ্ট করে দেয় যে রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকলেও মানবিক সম্পর্ক ও সৌজন্য বজায় রাখা যায়। তেজস্বী যাদব ও তাঁর পরিবারের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্তরিক আচরণ ভারতের রাজনীতিতে এক ইতিবাচক বার্তা দেয়।
সামাজিক মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। বিহার ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সাংবাদিক সহ বহু মানুষ তেজস্বী যাদব ও রাজশ্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকেই লিখেছেন, “পিতৃত্বের এই অনুভূতি জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। তোমাদের নতুন অধ্যায় হোক মধুর ও আনন্দময়।”
শেষ পর্যন্ত বলা যায়, তেজস্বী যাদবের জীবনে এই খুশির দিন শুধু একটি পরিবারিক আনন্দ নয়, বরং এটি একটি মানবিক মুহূর্ত, যা রাজনৈতিক সীমারেখাকে ছাপিয়ে গিয়ে এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের কামনা করে গোটা দেশ আজ তাঁদের পাশে।