নেপাল ইস্যুতে কড়া অবস্থানে মমতা, রাতভর বৈঠক উত্তরকন্যায়

নেপাল জ্বলছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দিন দিন ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে পারে ভারতের উত্তরবঙ্গে। সেই…

Mamata Banerjee Takes Strong Stand on Nepal Issue, Holds Overnight Meeting at Uttar Kanya

নেপাল জ্বলছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দিন দিন ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে পারে ভারতের উত্তরবঙ্গে। সেই কারণেই নেপালের উত্তেজনার আবহ ঘিরে রাজ্য প্রশাসনও সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।ভারত-নেপাল সীমান্তের বিশাল অংশই রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তাই রাজ্যের এই সংবেদনশীল অংশে সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মঙ্গলবার থেকেই রয়েছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। পরিস্থিতির ওপর প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে এবং জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার্থে তিনি উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যা থেকে সমস্ত তথ্য সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন।

বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি এক্ টুইটার)হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্টে বলা হয়েছে —পড়শি দেশ নেপালের অবস্থা উদ্বেগজনক। তাই রাজ্যের স্বার্থে, রাত জেগে উত্তরকন্যায় বসে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ।”

   

নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতি

নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বেগ তৈরি করেছে। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সহিংসতার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ। প্রশাসনের আশঙ্কা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় — যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর। নেপালের পরিস্থিতি ঘিরে গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানো রুখতেও প্রশাসন সতর্ক হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান বাড়তে পারে — এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও।

প্রশাসনিক তৎপরতা ও মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উত্তরকন্যায় থেকে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, বিএসএফ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা নিয়মিত পরিস্থিতির আপডেট দিচ্ছেন। সীমান্ত অঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন —

Advertisements

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে হবে।

সম্ভাব্য অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা ঠেকাতে সতর্ক থাকতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো থেকে বিরত রাখতে সচেতনতা প্রচার বাড়াতে হবে।

জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

রাজনৈতিক বার্তা ও জনগণের আশ্বাস

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের নিরাপত্তা ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) একমাত্র অগ্রাধিকার। বিরোধী দলগুলোও এই পরিস্থিতিতে সতর্ক প্রশাসনিক পদক্ষেপের পক্ষে সায় দিচ্ছে।