পরেশ পালের মুখ দেখে বলে দেওয়া ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণে বাঁচালেন বিধায়ক পরেশ পালকে। সোমবার একটি বৈঠকে নবান্নে উপস্থিত ছিলেন পরেশ পাল। সেইখানেই তাঁর মুখ দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন যে, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে কিনা। তার উত্তরে পরেশ জানান তিনি দিব্যি আছেন। কিন্তু দিদির নির্দেশেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় যে তাঁর মস্তিষ্কে অল্প অল্প করে রক্ত জমাট বেঁধেছে।
একটি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রের ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে যে, সোমবার বিকেলের। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল কুণাল, স্বপন, পরেশ এবং কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষকে। সূত্রের খবর, বৈঠক শুরুর মিনিট দশেক পর নবান্নে মমতার ঘরে পৌঁছন পরেশ। পরেশকে দেখেই মমতা বলেন, ‘‘তোমার ভিতরে ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে। চোখমুখ দেখে আমার ঠিক লাগছে না।’’ পরেশ অবশ্য দাবি করেন, তিনি ঠিক আছেন। তাঁর কোনও শারীরিক অসুবিধা বা অস্থিরতা হচ্ছে না। কিন্তু দিদির জোরাজুরিতেই কুণাল ঘোষ সহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দওরা তাঁকে নিয়ে দৌড়ায় হাসপাতালে।
সোমবার সন্ধ্যাবেলায় মস্তিষ্কে ‘স্ক্যান’ হয় পরেশের। তার পরে এমআরআইও করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সে সব পরীক্ষায় ধরা পড়ে, পরেশের মস্তিষ্কে অল্প অল্প করে রক্ত জমাট বাঁধছে। দ্রুত আইসিইউ-তে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে পরেশের শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইসিইউ থেকে তাঁকে কেবিনেও দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে দিদির অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা।