‘বিত্তমান নয়, বিবেকবান!’ বড় জয়ের পর ২১শের মঞ্চে শৃঙ্খলার পাঠ মমতার

mamata banerjee

বহু প্রতীক্ষিত ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টার কিছুটা পরে মঞ্চে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে উঠেই তাঁর গলায় শোনা গেল কবিতার লাইন। তারপরে অখিলেশ যাদবের প্রসঙ্গ। ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে তিনি অখিলেখ যাদবের প্রশংসা করলেন। তারপরেই তিনি দলের প্রসঙ্গে কথা শুরু করেন। তাঁর কথায়, যত জিতব তত নরম হতে হবে। দায়িত্ব বাড়বে। আমি এখানে বিত্তবান চাই না। এমন মানুষ চাই যার আবেগ আছে, মানবিকতা আছে। বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

Advertisements

২১শের সকালে বড় চমক! শোরগোল ফেললেন ‘সেনাপতি’ অভিষেক!

তাঁর কথায়, ‘‘দলে বিত্তবান লোক চাই না। বিবেকবান লোক চাই। আমরা দায়িত্বে আসার আগে দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন ৫৭.৬ শতাংশ মানুষ। আমাদের জমানায় ৪০ শতাংশ দারিদ্রসীমা কমিয়ে দিয়েছি।” প্রসঙ্গত তাঁর দলের অধিকাংশ মন্ত্রী তথা সাংসদের সম্পত্তির পরিমাণ কোটি টাকার উপরে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে তাঁর এই কথা কি দলের নেতামন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে ছিল? এইদিন তিনি সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” সাংসদদের বলছি কারও বিরুদ্ধে যেন কোনও অভিযোগ না পাই। অভিযোগ পেলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। লোভ করবেন না। যা আছে তা নিয়ে থাকুন। “

আদৌ তৃণমূলে যোগ, নাকি বিভীষণের ভূমিকায় দুই বিজেপি সাংসদ? নজরে একুশের মঞ্চ

Advertisements

মমতা আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনের একতরফা আচরণের পরেও লোকসভা নির্বাচনে, বিধানসভা উপনির্বাচনে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন। এজেন্সির ধমকানির পরেও মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন।’’ এখানেই শেষ নয় ধর্মতলার মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘‘আমরা দায়িত্বে আসার আগে দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন ৫৭.৬ শতাংশ মানুষ। আমাদের জমানায় তা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি আন্দোলনে পারে না। আমার কাছে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি তৈরি আছে। কিন্তু আমি কিছু করতে গেলে আদালতে ছোটে তারা।”