চড়া বাজারমূল্য, নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। পকেটে লাগছে ছ্যাঁকা। সবজির তুলনায় বেশ কিছু মাছের দাম সস্তা। এর মধ্যে অন্যতম তেলাপিয়া। কিন্তু, অগ্নিমূল্যের বাজারে এই সস্তার মাছ নিয়েও চলছে নানা প্রচার, যা শুনেই ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছেন আম বাঙালি। তেলাপিয়া নিয়ে প্রচার কানে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীরও। অবশ্য, সেই ভ্রান্ত প্রচার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল ভাঙল মঙ্গলবার নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত বৈঠকের মাঝে। আধিকারিকদের থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন যে, তেলাপিয়া নিয়ে যেসব রটনা রয়েছে সেগুলো ভুয়ো। যা শুনেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মমতা! বললেন, ‘নির্ভয়ে তেলাপিয়া মাছ খান। এই মাছ খেলে ক্যানসার হয় না।’
এ দিন নবান্নের বৈঠকে তেলাপিয়া মাছের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তাঁর সামনে হাজির সরকারি আমলাদের কাছে জানতে চান, ‘তেলাপিয়া মাছ খেলে কি শারীরে কিছু নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হয়?’ আমলারা জানিয়ে দেন, এরকম কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও মেলেনি। যা শুনে চমকে ওঠেন মমতা! জিজ্ঞেস করেন, ‘কারা রটালো যে তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সার হয়? আমিও তো এতদিন তাই জানিতাম!’
নাসিকের পেঁয়াজে এত পেয়ার কেন? দামের ঝাঁজে অতিষ্ঠ মমতার বড় নির্দেশ!
এরপরই মেচে-ভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ভয়ে তেলাপিয়া মাছ খান। এই মাছ খেলে ক্যান্সার হয় না।’
প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল, ‘তেলাপিয়া মাছ নিয়ে যারা মিথ্যা খবর রটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি?’
বাংলায় ‘জল ভরো, জল ধরো’ প্রকল্পে কাটা পুকুরে তেলাপিয়া মাছ ছাড়ার জন্যও সরকারি আমলাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


