‘ভাষার রাজনীতি নয়, চাই সম্মান’, প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

ভারতের অভ্যন্তরে ভাষা ও জাতিগত পরিচয় ঘিরে যে বৈচিত্র্য রয়েছে, (Mamata Banerjee) তা যেমন গর্বের বিষয়, তেমনি কখনও কখনও এই বৈচিত্র্য বিভাজনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়।…

West Bengal CM Mamata Banerjee Criticizes BJP Over Language Row

ভারতের অভ্যন্তরে ভাষা ও জাতিগত পরিচয় ঘিরে যে বৈচিত্র্য রয়েছে, (Mamata Banerjee) তা যেমন গর্বের বিষয়, তেমনি কখনও কখনও এই বৈচিত্র্য বিভাজনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার রাজনীতি এবং হয়রানির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদ জানিয়ে বললেন, “বাঙালির অপমান মানব না।”(Mamata Banerjee) 

একজন জননেত্রী হিসেবে বারবার বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও(Mamata Banerjee) আত্মপরিচয় রক্ষায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কথায় আছে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। আজ বাংলায় কথা বললেই বলে অ্যারেস্ট(Mamata Banerjee) করুন! এটা কোন আইন? আমরা ভারতের নাগরিক, আমরা সবাইকে সম্মান করি। সব ভাষার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু বাঙালিকে অসম্মান করা হলে আমরা মাথা নত করব না।”(Mamata Banerjee) 

   

তিনি আরও বলেন, “যাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে,(Mamata Banerjee) তাঁদের সব কাগজপত্র আছে। শুধু বাংলায় কথা বলার অপরাধে তাঁদের বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা বলে অপমান করা হচ্ছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। এটা কি জমিদারি? বাংলায় কথা বললেই এভাবে দমন করা হবে?”(Mamata Banerjee) 

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয়, তিনি শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের বাঙালি জনগণের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “যাঁরা কাজ করতে বাইরে যান, তাঁরা দক্ষ বলে তাঁদের কাজে নেওয়া হয়। ওরা বাংলায় থাকলে আরও ভালো থাকত। কিন্তু নিজের পেট চালাতে বাইরে গিয়েছেন। এখন কোন অধিকারে তাঁদের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে?”(Mamata Banerjee) 

এই বক্তব্যের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল এক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, বরং এক বাঙালি নেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। রাজ্যের বাইরে বসবাসকারী বহু বাংলাভাষী মানুষ, যাঁরা মূলত কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে গিয়েছেন, তাঁদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।(Mamata Banerjee) 

Advertisements

ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা যেমন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশ, তেমনি কারও(Mamata Banerjee) মাতৃভাষার প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো সরাসরি সংবিধান বিরোধী। এই বক্তব্যে মমতা সেই মৌলিক অধিকারের সুরক্ষাকে সামনে আনলেন। পাশাপাশি, তিনি এক বড় বার্তাও দিলেন— ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে রাজনীতি নয়, বরং তা রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা থাকা উচিত।(Mamata Banerjee) 

এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই(Mamata Banerjee) বক্তব্য কেবল একটি প্রতিবাদ নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতে বাংলা ও বাঙালির মর্যাদা নিয়ে নতুন করে এক দাবি তোলার আহ্বান। বিশেষ করে যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাষার ভিত্তিতে বৈষম্যের অভিযোগ সামনে আসছে, তখন এমন প্রতিবাদ অনেকের কাছেই সাহসিকতার নিদর্শন।

বাঙালির ইতিহাস বলছে, ভাষার জন্য প্রাণ দিতে পিছপা হয়নি এই জাতি। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সেই ঐতিহ্যেরই প্রতীক। সেই প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা—“অত্যাচার সহ্য করব না, অপমান মানব না”—আসলে একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ।(Mamata Banerjee)