৮১ হাজার কোটি ঋণ নেবে মমতা সরকার, টাকা কোথায় যাচ্ছে প্রশ্ন সেলিমের

বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন (West Bengal Budget) শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সরকার নতুন করে বাজার থেকে ঋণ…

CPIM Mohammed Salim

short-samachar

বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন (West Bengal Budget) শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সরকার নতুন করে বাজার থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮১ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। মমতাকে কটাক্ষ করে CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, রাজ্যের ঋণ চারগুন হলো তৃণমূলের সময়ে।

   

রাজ্য বাজেটের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, এত ঋণ করে কী হচ্ছে। এ সরকার আসার সময় যা ছিল তার চারগুন। এই ঋণের অর্থ কোথায় যাচ্ছে? বাধ্যবাধকতা কী? বাজার থেকে বেশি সুদে ঋণ নেওয়া হচ্ছে শখ আহ্লাদ মেটানোর জন্য।

সেলিম বলেন, বেকারদের কাজ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও ভাবনাচিন্তাই নেই। কত কর্মসংস্থান হলো। কতো কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা আছে, তার বিন্দু বিসর্গ জানা নেই। এমনকি আবাস যোজনা নিয়ে এত হইচই হচ্ছে। ওরা বললেন কেন্দ্র টাকা দেবে না রাজ্য বাজেট থেকে হবে। এখন বলছেন অর্ধেক টাকা বাজারে ছেড়ে দিয়েছি। তাতে দুর্নীতি বেড়েছে। মানুষের ঘর তো শেষ হচ্ছে না। অসম্পূর্ণ ঘর পড়ে আছে। কিস্তি অসম্পূর্ণ। যাদের ঘর পাওয়ার কথা, গৃহহীন মানুষ ঝুপড়ি করে আছেন, ত্রিপল-চট লাগিয়ে আছেন। এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্যের আবাস যোজনা কেন ব্যর্থ হলো তা নিয়ে কোনও কথা মুখ্যমন্ত্রীর নেই। কেবল টাকার অঙ্ক দিয়ে বোঝাবেন?  

রাজ্যের গত বাজেট অনুযায়ী পুঞ্জীভূত ঋণের অঙ্ক ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সময় পর্যন্ত মোট ঋণের অঙ্ক ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা। বাম সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয় ২০১১ সালে। সে বছর পর্যন্ত রাজ্যের মোট ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকার কম। আর তৃণমূলের ১৫ বছরের কম সময়ে প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাবে এই পুঞ্জীভূত ঋণ।