বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বর্তমানে এক সপ্তাহের জন্য লন্ডনে গিয়েছেন, যেখানে তাঁর নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। রবিবার, ভারতীয় সময় ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে দুবাই থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। বিমানটি ভারতের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার দুপুর নাগাদ হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
এর আগে, ২২ মার্চ শুক্রবার হিথরো বিমানবন্দরে আগুন লাগার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছিল, যার ফলে মমতার সফর কিছুটা পিছিয়ে যায়। সেই কারণে, মুখ্যমন্ত্রী একদিন পরে ২৩ মার্চ শনিবার রাতে কলকাতা থেকে দুবাই পাড়ি দেন এবং সেখান থেকে রবিবার লন্ডনের উদ্দেশে উড়ে যান।
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই সফরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য বৈঠক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়া, এবং ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি লন্ডনে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। তিনি অক্সফোর্ডসহ লন্ডনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে সেখানে ভাষণ দেবেন। এই সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাংলার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের বিশেষ সচিব গৌতম সান্যাল, শিল্প সচিব বন্দনা যাদব এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে ব্যবসা, শিক্ষা এবং সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা হবে। লন্ডনে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন এবং সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে নতুন পথ খুলে দিতে পারেন। সফরের জন্য মমতার সঙ্গে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন শিল্পপতি, যাঁরা বাংলার শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার জন্য ব্রিটেনের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করবেন। এই সফরে উপস্থিত থাকবেন শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী, মেহুল মহঙ্কা, উমেশ চৌধুরী, এবং সন্তোষ বাঙ্গার, যারা বাংলার শিল্প উন্নয়নের পক্ষে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, তিনি সেখানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করবেন। একাধিক কলেজের আমন্ত্রণে তিনি সেখানে ভাষণও দেবেন, যা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কিত বার্তা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে।
২৫, ২৬ এবং ২৭ মার্চ লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো একাধিক বাণিজ্য বৈঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, এবং ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে মিটিং। ২৮ মার্চ, পূর্ব সূচি অনুযায়ী, মমতা লন্ডন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তবে সফরের সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন ঘটবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই সফর বাংলার জন্য নতুন ব্যবসায়িক দিগন্ত খুলে দিতে পারে এবং পশ্চিমবঙ্গের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি লাভ করতে সহায়ক হবে।