বিজেপি ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে নির্বাচন কমিশনের সহায়তায়, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

বিজেপির বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, বাংলার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বিজেপি। বুধবার, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা সভায়…

Mamata Banerjee Delivers Keynote Speech at Netaji Indoor Stadium

বিজেপির বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, বাংলার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বিজেপি। বুধবার, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা সভায় উপস্থিত হয়ে মমতা বলেন, “বিজেপি এজেন্সি পাঠিয়ে বাংলার ভোটার তালিকায় পঞ্জাব ও হরিয়ানার বহু লোকের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এই কাজটা করা হচ্ছে দিল্লি থেকে, এবং নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদে।”

মমতা আরও বলেন, “বাংলার ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে। আমরা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের দফতরে ধর্না দেব।” তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি একবার আবারও বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন এবং বাংলার ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কর্মীদের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে, বিজেপি বাংলার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করছে এবং বিরোধী দলের ভোট ব্যাংক ধ্বংস করতে চাচ্ছে। “পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কিছু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানোর মাধ্যমে তারা বাংলা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। তবে, আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ নজর রাখব,”—এমনটাই জানান তিনি।

তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের লক্ষ্যে কোনো বাধা আসবে না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ শানিয়ে আসছেন তিনি। এদিনও তিনি বলেন, “২০২৬ সালে আবার খেলা হবে, তবে সেই খেলা এবার আরো বড় আকারে হবে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্য বাংলা রক্ষা করা, এবং বাংলা বাসীর কল্যাণে কাজ করা।”

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা তৃণমূলের কর্মীদের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়াবে। তবে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই বার্তা একধরনের সংকেত দেয় যে, তারা আগামী দিনে বিজেপির সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগভাবে লড়াই করবে। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যও ছিল স্পষ্ট, নির্বাচনের প্রস্তুতি এখনই শুরু করতে হবে এবং দলের শক্তি আরও জোরালো করতে হবে।

মমতার এই অভিযোগের পর বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তৃণমূলের এই দাবির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।