পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের করা মানহানি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। এই মামলা আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদালত সূত্রে খবর, শুনানির দিনক্ষণ ও মামলা কোন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত?
গত ২ মে রাজ্যপাল আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তবে পদমর্যাদার বিষয় সামনে এনে ওই তদন্তকে আইন বহির্ভুত বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এদিকে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়ন চলেছিল। রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান। মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেন সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপাল তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয়।
কী নির্দেশ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের?
রাজ্যপালের করা মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রিয়াদ হোসেন আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।
একলপ্তে অনেকটাই ভাতা বাড়ল সরকারি স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষকদের
যদিও সে সেময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছিলেন। এর মধ্যে ব্যক্তি আক্রমণ বা মর্যাদাহানির অভিযোগ ঠিক নয়।
এবার এ বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
গাড়ি থেকে নেমে জুতো নিয়ে তেড়ে গেলেন শুভেন্দু! কী এমন হল?