“পরিযায়ী পাখিদের বাংলায় ঠাঁই নেই”, দিল্লির নেতাদের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

লোকসভা নির্বাচন ২০২৬-এর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে আগেভাগেই। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা এবং তার পালটা নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) …

Mamata Banerjee Throws Down Gauntlet, Challenges PM Modi to Early Polls

লোকসভা নির্বাচন ২০২৬-এর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে আগেভাগেই। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা এবং তার পালটা নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)  সাংবাদিক বৈঠক—এই দুই ঘটনাই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনের রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে বাংলার রাজনীতিতে।

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর (CM Mamata Banerjee)  ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ কার্যত একটি কূটনৈতিক বার্তা পাকিস্তানকে। দেশজুড়ে এই অপারেশনের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও এই অপারেশনের প্রশংসায় মুখর হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)  নিজে সেনাবাহিনীর সাহসিকতার কৃতিত্ব দিয়েছেন। (CM Mamata Banerjee)  অথচ, এই প্রশংসার সুর বজায় রেখেও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যখন ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ধাঁচে ‘অপারেশন বাংলা’-র কথা বলেন, তখন তা রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দেয়।

   

সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য যে তৃণমূলের রাজনৈতিক লড়াইয়ের মঞ্চে একরকম যুদ্ধের ডাক বলেই প্রতিভাত হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)  সেই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন। নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জ করছি, কালই ভোট করুন। আমরা তৈরি আছি। দেখা যাবে কে কেমন জনপ্রিয়।” শুধু তা-ই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)  আরও বলেন, “বাংলার সংস্কৃতি ও রাজনীতির স্বাতন্ত্র্য আছে। বিজেপি কোনওদিন বাংলার মন জিততে পারবে না।”

এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই ফের উঠে এসেছে(CM Mamata Banerjee)  ‘পরিযায়ী রাজনীতির’ প্রসঙ্গ। নির্বাচনের আগে বারবার দিল্লি থেকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলায় আসেন, জনসভা করেন, কুৎসা ও ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন—এই অভিযোগ বারবার করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)  প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “আপনি ঠিক নির্বাচনের আগেই বাংলা এসে পড়েন। বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাতে আসেন। কিন্তু এতদিনেও মণিপুর গেলেন না কেন? সেখানেও তো আপনার যাওয়া উচিত ছিল!”

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি রয়েছে(CM Mamata Banerjee)  কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়েও এক গভীর ক্ষোভ। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি এই অভিযোগ নতুন নয়, কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে তা আবারও ঘনীভূত হয়ে উঠছে। বাংলার সাংস্কৃতিক ভাবধারাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব নতুন নয়, তবে এবারের লড়াই আরও তীক্ষ্ণ হচ্ছে।

Advertisements

মোদির জনসভায় যেমন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরা হয়—উন্নয়নের অভাব, দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জবাবে রাজ্যের সার্বিক সাফল্য, সামাজিক প্রকল্প, শান্তির পরিবেশ এবং কেন্দ্রের একাধিক ব্যর্থতা তুলে ধরেছেন।

এই অবস্থায় স্পষ্ট, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন(CM Mamata Banerjee)  থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে ‘অপারেশন বাংলা’র হুঙ্কার দিয়ে রাজ্য দখলের ডাক বিজেপির, অপরদিকে সেই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যয়ী ঘোষণা—“বাংলা বিজেপির হাতে যাবে না।” (CM Mamata Banerjee)  রাজনৈতিকভাবে এই যুদ্ধ শুধু দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়বে ঘরে ঘরে, গায়ে গায়ে।

সবশেষে বলা যায়, আলিপুরদুয়ারে মোদির সভা (CM Mamata Banerjee)  আর তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতা—দুই-ই আসন্ন নির্বাচনের আগাম ট্রেলার। সময় যত এগোবে, তত এই লড়াই আরও তীব্র হবে। কিন্তু শেষ কথা বলবে বাংলার জনগণ—ভোটের বাক্সে।